হিজবুত তাহরীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে জবি শিক্ষার্থী তিন দিনের রিমান্ডে

জবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম
হিজবুত তাহরীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে জবি শিক্ষার্থী তিন দিনের রিমান্ডে

নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্রপন্থী সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সঙ্গে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগের উপ-পরিদর্শক মো. শাহিনুর রহমান এদিন শিক্ষার্থী মিজানুর রহমানকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মিজানুর রহমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। গত ৭ মে রাত ১১টার দিকে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার নারিন্দা এলাকার একটি মেস থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ তাকে আটক করে। ঘটনার পরপরই তার পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশপাশের থানায় খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধান পাননি।

পরবর্তীতে জানা যায়, ২১ মার্চ ধানমন্ডি থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে হিজবুত তাহরীরের সঙ্গে যুক্ত এবং সংগঠনের পক্ষে প্রচারণা, সদস্য সংগ্রহ ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মিজানুর রহমান ‘Come Out for Save Gaza’ এবং ‘Protest Rally’ শিরোনামে কর্মসূচির প্রচার চালান, যা সহিংসতা উসকে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সংগঠিত হয়েছিল। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন (টেকনো) ও ল্যাপটপ (লেনোভো) জব্দ করা হয়েছে, যেগুলোতে রাষ্ট্রবিরোধী ও উগ্রপন্থী কনটেন্ট পাওয়া গেছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিজানুর হিজবুত তাহরীরের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাকে জামিনে মুক্তি দিলে পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে দাবি করেছে তদন্ত সংস্থা।

মিজানুরের বড় ভাই সাজু রহমান বলেন, “ওকে সেদিন রাত ১১টার দিকে নারিন্দার মেস থেকে তুলে নেওয়া হয়। তিন দিন কোনো খোঁজ পাইনি। পরে জানতে পারি, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। আমরা তার ন্যায়বিচার চাই।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, “প্রথমে তার অবস্থান নিশ্চিত না হওয়ায় উদ্বিগ্ন ছিলাম। পরে জানতে পারি, তাকে রাষ্ট্রবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি।”

ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাশৈনু জানান, “মামলাটি আমার দায়িত্ব গ্রহণের আগেই হয়েছে। এটি ধানমন্ডি থানায় নথিভুক্ত হলেও তদন্ত করছে সিটিটিসি বিভাগ। বিস্তারিত তারাই বলতে পারবেন।”

ইএইচ