শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এছাড়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে এই মামলায় শ্যান অ্যারেস্ট দেখাতে বলেছেন আদালত। এই মামলায় পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এর মধ্যে গ্রেফতার রয়েছেন। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক আছেন। আগামী ১৬ জুন এই মামলার তিন আসামিকে হাজির করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউশনের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (১ জুন) ট্রাইব্যুনাল বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর আব্দুস সোবহান তরফদার ও প্রসিকিটর মো. মিজানুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাজী এমএইচ তামিম, আব্দুস সাত্তার পালোয়ান, প্রসিকিউটর ওমর ফারুক প্রমুখ।

এর আগে দুপুর বেলা ১২টায় প্রসিকিউশন থেকে ট্রাইব্যুনালে জানানো হয়, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাড়ে আট হাজার পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র (ফর্মাল চার্জ) রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সুপিরিয়র রেসপনসিভিলিটি, হত্যার নির্দেশদাতাসহ দেড় হাজার লোককে হত্যা ও হাজার হাজার লোককে গুলি করে চোখ নষ্ট করে দেওয়া আহত ও পঙ্গু করে দেওয়াসহ মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। তারপর এই ঘটনায় প্রথম বিবিধ মামলা হয় ট্রাইব্যুনালে। সেই বিবিধ মামলার ভিত্তিতে আজকে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এখন ট্রাইব্যুনালে এটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ এই তিনজনের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত ১২ মে এই মামলায় চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিল ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

নিয়ম অনুযায়ী, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা প্রথমে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর চিফ প্রসিকিউটর সেই তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেন এবং আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন।

পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মোট তিনটি মামলা হয়। এর মধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হলো। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ শাসনামলের সাড়ে ১৫ বছরে গুম-খুনের ঘটনায় একটি মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অপর মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।

আরএস