চাঁদাবাজির টাকায় মোটরসাইকেল কেনেন বহিষ্কৃত বাগছাস নেতা অপু

আদালত প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২৫, ১১:৪৭ পিএম
চাঁদাবাজির টাকায় মোটরসাইকেল কেনেন বহিষ্কৃত বাগছাস নেতা অপু

রাজধানীর গুলশান থানায় চাঁদাবাজির মামলায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু। এরপর আদালতের আদেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলম তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হলে অপু স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মতি জানান। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করেন এবং আদালত তা মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ২ আগস্ট আদালত অপুকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠান।

এ মামলায় এর আগেই গত ৩ আগস্ট দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদ। ওইদিন রিমান্ড শেষে তার তিন সহযোগী—ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক মো. ইব্রাহিম হোসেন, সদস্য সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাবকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৬ জুলাই সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর গুলশান থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।

তিনি অভিযোগে বলেন, ১৭ জুলাই সকাল ১০টায় আসামি আবদুর রাজ্জাক ও কাজী গৌরব অপু গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা বাদীকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন এবং বারবার চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। একপর্যায়ে বাদী বাধ্য হয়ে নিজের কাছে থাকা পাঁচ লাখ টাকা ও ভাইয়ের কাছ থেকে আরও পাঁচ লাখ টাকা এনে তাদের দেন।

পরবর্তীতে ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে আসামি রিয়াদ ও অপু ফের ওই বাসায় গিয়ে দরজায় সজোরে ধাক্কা দেন। তখন গুলশান থানা পুলিশকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানানো হলে তারা পালিয়ে যায়।

এরপর ২৬ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রিয়াদের নেতৃত্বে আসামিরা আবার বাদীর বাসার সামনে আসে এবং বাকি ৪০ লাখ টাকা দাবি করে তাকে খুঁজতে থাকে। তখন বাসার দারোয়ান মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানালে বাদী আবার পুলিশকে অবহিত করেন। তাৎক্ষণিক গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচজনকে হাতেনাতে আটক করে। তবে এজাহারভুক্ত আসামি জানে আলম অপু তখন দৌড়ে পালিয়ে যান।

ইএইচ