বৃষ্টির দিন অনেকের কাছেই রোমান্টিক আবহের প্রতীক। ঝিরঝির বৃষ্টির শব্দ, ঠান্ডা বাতাস ও স্নিগ্ধ পরিবেশ মনকে করে তোলে আবেগময় এবং অনুভূতিপ্রবণ।
গবেষণা বলছে, এই আবহাওয়া শুধু মন ভালো করেই না, বরং দাম্পত্য সম্পর্কেও সৃষ্টি করে এক ধরনের ঘনিষ্ঠতা ও অন্তরঙ্গতার পরিবেশ। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে বৃষ্টির দিনে মিলনের প্রতি আগ্রহ কিছুটা বাড়ে বলেই মত দিয়েছেন মনোবিজ্ঞানী ও সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কী বলে?
আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে মানুষের হরমোন ও মুডের একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বৃষ্টির দিনে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে, যা শরীরে অক্সিটোসিন ও ডোপামিন নামক 'ফিল গুড' হরমোনের নিঃসরণ বাড়ায়। এই হরমোন দুটিই ভালোবাসা, মমতা ও যৌন উত্তেজনার জন্য দায়ী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বৃষ্টির শব্দ ও পরিবেশ নারীদের মস্তিষ্কে এক ধরনের প্রশান্তি সৃষ্টি করে, যা দৈনন্দিন মানসিক চাপ হ্রাস করে এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রতি আকৃষ্ট করে।
মনস্তাত্ত্বিক দিক
মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, বৃষ্টির দিনে বাইরের কাজ কমে যাওয়ায় অনেকেই ঘরে সময় কাটান। এই সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একান্ত সময় কাটানোর সুযোগ বাড়ে। আর সেই ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত তৈরি করে শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ।
সংস্কৃতির প্রভাবও আছে
বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বর্ষা প্রেম ও ভালোবাসার ঋতু হিসেবে বিবেচিত। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল থেকে শুরু করে আধুনিক গানে বর্ষার প্রেমময়তা বারবার উঠে এসেছে। ফলে সমাজ ও মননে বৃষ্টিকে রোমান্টিক সময় হিসেবে দেখার প্রবণতা তৈরি হয়েছে।
নারীদের ক্ষেত্রে কেন বেশি?
নারীরা সাধারণত আবেগনির্ভর সিদ্ধান্তে বেশি প্রভাবিত হন। আবহাওয়া পরিবর্তন, পরিবেশগত নরমতা ও ভালোবাসার আবহ নারীদের মানসিকতায় সরাসরি প্রভাব ফেলে। এই কারণেই বৃষ্টির দিনে তাদের মাঝে অন্তরঙ্গতার প্রতি ঝোঁক একটু বেশি দেখা যায়।
উল্লেখ্য, বৃষ্টির দিনে মিলনের প্রতি আগ্রহ একেবারে অমূলক নয়, বরং এর পেছনে রয়েছে প্রকৃতি, মন ও শরীরের গভীর সম্পর্ক। তবে এটি ব্যক্তি-ভেদে ভিন্ন হতে পারে। স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক ও পারস্পরিক সম্মতি থাকলেই এমন আবহ আরও গভীরতর হতে পারে।
ইএইচ