যাত্রীর পরিহিত জামা থেকে এক কোটি ২৮ লাখ টাকার স্বর্ণ জব্দ

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৩, ০১:০৯ এএম
যাত্রীর পরিহিত জামা থেকে এক কোটি ২৮ লাখ টাকার স্বর্ণ জব্দ

চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিশেষ কায়দায় কাপড়ের ভেতরে লুকিয়ে দুবাই থেকে স্বর্ণ নিয়ে আসেন নোয়াখালীর মোহাম্মদ জিয়াউল হক। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে আটক করে এনএসআই টিম ও বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

অভিযুক্ত জিয়াউলের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সহায়তায় এ অভিযান পরিচালনা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

গোপন সোর্সের খবরে আগে থেকেই নজরদারী বৃদ্ধি করে বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এনএসআই টিম ও বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

বিমানটি অবতরণের পর যাত্রী জিয়াউল হকের গতিবিধি সন্দেহ জনক হওয়ায় তার দেহ তল্লাশী করে ২ কেজি ৯৫০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের প্রলেপযুক্ত ১টি স্যান্ডো গেঞ্জি, ১ টি ফুল প্যান্ট ও ১টি আন্ডারওয়্যার জব্দ করা হয়।

এসব জামা কাপড় থেকে ২৪ ক্যারেটের ১ কেজি ৪২৯ গ্রাম স্বর্ণের গোলক পিণ্ড এবং ২৪ ক্যারেটের ২৩৩ গ্রাম ওজনের ২টি স্বর্ণের বার ও ২২ ক্যারেটের ১শ গ্রাম স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বশির আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে দুবাই থেকে আসা এক যাত্রীকে আটক করা হয়।

ওই যাত্রী স্বর্ণ প্রলেপযুক্ত জামা-কাপড় পরিহিত ছিলো। পরে স্বর্ণ প্রলেপযুক্ত জামা কাপড় থেকে স্বর্ণ আলাদা করার জন্য চট্টগ্রাম নগরীর স্বর্ণের কারখানা (হাজারীগলি)তে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে সনাতন পদ্ধতিতে নিখাদ স্বর্ণ প্রলেপযুক্ত জামা-কাপড় থেকে স্বর্ণ গোলক পিন্ড আকৃতিতে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের মোট ওজন এক কেজি ৭৬২ গ্রাম। যার বর্তমান বাজার মূল্য এক কোটি ২৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।

উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের ক্ষেত্রে দি কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।