সেনানিবাসে ৬২৬ জনকে আশ্রয়: ব্যাখ্যা দিলো আইএসপিআর

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৫, ১০:৫৫ পিএম
সেনানিবাসে ৬২৬ জনকে আশ্রয়: ব্যাখ্যা দিলো আইএসপিআর

জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে পূর্ববর্তী সরকারের পতনের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটে। কিছু কুচক্রী মহলের তৎপরতায় সরকারি দপ্তর ও থানায় হামলা, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর আক্রমণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মব জাস্টিস, চুরি-ডাকাতিসহ নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এ অবস্থায় জনমনে চরম নিরাপত্তাহীনতার সৃষ্টি হয়।

এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ—including রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব—জীবন রক্ষার্থে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। এমন পরিস্থিতিতে আশ্রয়প্রার্থীদের পরিচয় যাচাইয়ের চেয়ে তাদের প্রাণ রক্ষাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মোট ৬২৬ জনকে সাময়িক আশ্রয় দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছেন—২৪ জন রাজনৈতিক নেতা, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, ১২ জন অন্যান্য পেশাজীবী এবং ৫১ জন পরিবারের সদস্য (স্ত্রী ও শিশু)।

সেনাবাহিনী জানায়, শুধুমাত্র মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যাতে কোনো অবৈধ হত্যাকাণ্ড বা প্রাণনাশের ঘটনা না ঘটে। পরিস্থিতির উন্নতির পর অধিকাংশ আশ্রয়প্রার্থী ১-২ দিনের মধ্যে সেনানিবাস ত্যাগ করেন। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাদের মধ্যে ৫ জনকে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

১৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে সেনাবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এবং একই দিনে ১৯৩ জনের একটি তালিকা (৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও ১ জন এনএসআই সদস্য ব্যতীত) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে। এটি একটি মীমাংসিত বিষয় বলেই উল্লেখ করা হয়।

সেনাবাহিনীর দাবি, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও আস্থার সঙ্গে জাতির পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।

ইএইচ