রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনার ভয়াবহতা কাটিয়ে ধীরে ধীরে শুরু হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়েছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম।
জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ্ বুলবুল জানান, প্রথম দুই দিন ক্যাম্পাসে মূলত চলেছে দোয়া মাহফিল, মানসিক প্রশমন কর্মসূচি ও কাউন্সেলিং। তবে আজ থেকে ধাপে ধাপে পুরোদমে শুরু হচ্ছে নিয়মিত ক্লাস। তবে পরবর্তী তিন মাস চলবে মনোসামাজিক কাউন্সেলিং। শিক্ষার্থীদের ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনাই এখন সবার মূল লক্ষ্য।
অধ্যক্ষ বলেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো শিক্ষার্থীদের মানসিক সাপোর্ট দেওয়া। কাউকে জোর করা হয়নি। অভিভাবকদের মতামতের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীদের ধাপে ধাপে ক্যাম্পাসে ফেরানো হচ্ছে। দুর্ঘটনার দিন প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীদের মানসিক প্রভাব তুলনামূলকভাবে বেশি। তাই তাদের জন্য আলাদা মনোযোগ দিয়ে সেশন পরিচালনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা জানি, একটি সেশন যথেষ্ট নয়। অনেক শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ধারাবাহিক সেশন দরকার। আমরা ফর্ম মাস্টারদের মাধ্যমে ফিডব্যাক নিয়ে কাজ করছি। সর্বোপরি আজ থেকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হয়েছে। প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের ক্লাসগুলো পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে চালু করা হবে।
কলেজ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ব্র্যাক, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং কলেজের নিজস্ব সাইকোলজিস্টদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ কাউন্সেলিং টিম কাজ করছে। শুরুতে ওয়ান-টু-ওয়ান সেশন হলেও এখন চলছে গ্রুপ কাউন্সেলিং। প্লে-গ্রুপ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা কর্নেল (অব.) নুরুন নবী জানান, যারা এখনো ট্রমায় আছে, তারা চাইলে অন্য কোনো শাখায় কিংবা প্রতিষ্ঠানেও স্থানান্তর হতে পারবে। তবে সরকার এরইমধ্যে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তারাই সিদ্ধান্ত নেবে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের ২১ তারিখ ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর মাইলস্টোন কলেজ কর্তৃপক্ষ তিন দফায় ছুটি ঘোষণা করে। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলেজটি ২ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ ছিল।