দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দেশের বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিককে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে কমিশনের পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে। কেস টু কেস ভিত্তিতে মামলা পরিচালনার জন্য এ নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল বাহার স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দুদক আইন, ২০০৪-এর ৩৩(৩) ধারা অনুযায়ী এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী, তিনি কমিশনের নির্ধারিত হারে সম্মানি পাবেন, কমিশনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকতে পারবেন না। প্রতি বছরের জানুয়ারিতে তার কর্মমূল্যায়ন করা হবে। প্রয়োজনে তদন্ত ও চার্জশিট প্রণয়নে কমিশনকে সহযোগিতা করতে হবে। কমিশন যে কোনো সময় কারণ দর্শানো ছাড়াই নিয়োগ বাতিল করতে পারবে।
দুদক সাধারণত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্যানেল আইনজীবী ও পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নিয়োগ দেয়। চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জেলা পিপি হিসেবে নিয়োগ পেতে ন্যূনতম ১০ বছরের মামলা পরিচালনার অভিজ্ঞতা এবং অন্তত ১০টি মামলা নিষ্পত্তির শর্ত দেয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টে হাইকোর্ট বিভাগে অন্তত ১০ বছরের অভিজ্ঞতা ও ১০টি মামলার নিষ্পত্তি বাধ্যতামূলক। অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত শিথিল থাকলেও রাজনৈতিক দলের পদে থাকা, সাজাপ্রাপ্ত হওয়া কিংবা ঋণ খেলাপি হলে প্রার্থীরা অযোগ্য বিবেচিত হন।
বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ও এরগো লিগ্যাল কাউন্সেলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সুপ্রিম কোর্ট ও জেলা আদালতে আইন পেশায় যুক্ত তিনি বর্তমানে এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটিতে কর্মরত।
ইএইচ