দিনব্যাপী মাঠ ছিল আওয়ামী লীগের দখলে

৫৪ দল মিলে ঘোড়ার ডিম পারবে, মন্তব্য কাদেরের

মো. সোহাগ বিশ্বাস প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩, ০৫:৫২ পিএম
৫৪ দল মিলে ঘোড়ার ডিম পারবে, মন্তব্য কাদেরের

বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর গণ অবস্থানের দিন মাঠে সরব ছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এই দিন বিএনপির কর্মসূচি থাকলেও কার্যত ঢাকা ছিলো আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দখলে। বিএনপির  কর্মসূচি ছিল নয়াপল্টন ও প্রেসক্লাব কেন্দ্রিক।

বিপরিতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সভা করে আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে।

সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। সভায় ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন ৫৪টি দল আজ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছ। তিনি বলেন, তাদের এই অবস্থানে কী হবে? ৫৪টি বিরোধী রাজনৈতিক দল ৫৪টি ঘোড়ার ডিম পাড়বে। 

কাদের বলেন, খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, খেলা হবে গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনর্বাসিত করে যারা দায় মুক্তি দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুসু সবুর, উপপ্রচার বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, কার্যনিবাহী সদস্য সানজিদা খানম।

এরপর ওবায়দুল কাদের বিকেল ৩.৩০টায় মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সমাবেশে যোগ দিয়ে একই কথা বলেন। সেই সাথে তিনি বলেন যারা দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়েছে, তারা নাকি দেশ মেরামত করবে। দেশ মেরামত তো করেন শেখ হাসিনা। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের স্বাধীনতা বাঁচবে না, গণতন্ত্রের বস্ত্রহরণ করবে। তাদের হাতে আমরা দেশকে ছেড়ে দিতে পারি না।

এছাড়াও সকাল ১১ টা থেকে রাজধানীর ফার্মগেটে সমাবেশ করছে আওয়ামী যুবলীগ। ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের আয়োজনে এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তবে নানক বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব আপনি কি ভুলে গেছেন আপনাদের সময় আমাদের অফিসে ঢুকতে দেন নাই, ক্ষমতার পুরো সময় অফিসের সামনের রোডে পুলিশ মোতায়েন করে রেখেছিলেন, আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের জেলে ঢুকিয়ে রেখেছিলেন, এত সহজে সব কিছু ভুলে গেলেন? 

মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, আপনাদের এখনো এই দেশে রাজনীতি করতে দিচ্ছে এটা শেখ হাসিনার মহানুভবতা।  আপনারা শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা চান তারপর রাজনীতিতে আসুন ক্ষমতার স্বপ্ন দেখুন।

১০ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। পরে দুপুরে  মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের এক সভা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দুপুর ২টায় শাহবাগে ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজ লেখা ব্যানার নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এতে বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।

এছাড়া প্রতিটি থানা-ওয়ার্ডে মিছিল এবং সতর্ক পাহারায় থাকতে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। তবে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এমনকি বিএনপির কর্মসূচিতে বাধাও দেয় নি ক্ষমতাসীনরা। তবে কর্মসূচি বিএনপির হলেও দিনভর রাজধানী ছিলো আওয়ামী লীগের দখলে।

টিএইচ