পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস, জানালেন ব্যারিস্টার ফুয়াদ

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৫, ০৪:৫৬ পিএম
পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস, জানালেন ব্যারিস্টার ফুয়াদ

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যদি নির্বাচনে না যায়, তবে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করতে পারেন।’’

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগ যেমন ১৯৭৩ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে একতরফা পদ্ধতিতে নির্বাচিত হয়েছে, এবারের নির্বাচনও ফেয়ার ও সুষ্ঠু হলেও একতরফা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’’

ফুয়াদ বলেন, ‘‘বিএনপির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রতিটি আসনে সিরিয়াসলি প্রতিযোগিতা করার মতো প্রার্থী নেই। সব দল একত্রিত হলেও বিএনপির বিরুদ্ধে ১০০ আসনে প্রার্থী দেওয়া কঠিন হবে। বিএনপির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে বিএনপি নিজেই। ১৩০-১৩৫ আসনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে এবং তারা একে অপরের বিরুদ্ধে খুবই শক্তিশালী।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে দলগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু তৈরি হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে যেগুলোতে একমত হয়েছি, সেগুলো বাস্তবায়ন নিয়ে আর ২০৩১ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। নারীদের আসন ৫০ থেকে ১০০ করার প্রস্তাব, দুই টার্মের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকার সীমাবদ্ধতা—এসব এখনই বাস্তবায়ন করা সম্ভব।’’

এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে গেলেও বিএনপির একতরফা বিজয়ের সম্ভাবনা আছে। নির্বাচন একমুখী হতে পারে। জামায়াত ও চরমোনাই বিএনপির পরে সবচেয়ে বড় দল। তারা পিআর সিস্টেম নিয়ে কঠোর অবস্থান নিলে নির্বাচন বয়কট করতে পারে। এনসিপি পিআর চায়নি এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে যদি তারা এডামেন্ট থাকে, তাহলে নির্বাচনের ফল একতরফা হওয়ার দিকে যাবে। তখন সরকারের এবং বিএনপির সামনে নির্বাচনী বিকল্প সীমিত হবে।’’

ফুয়াদ বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকার এই দায়িত্ব নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে কি না সন্দেহ আছে। গণঅভ্যুত্থানের শক্তি এই নির্বাচনে অংশ নেবে না। তখন প্রফেসর ইউনূস হয়তো দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করতে পারেন এবং নির্বাচনের সময়কালীন সরকার দায়িত্ব পালন করবে।’’

ইএইচ