দ্বাদশেও নতি স্বীকার!

আবদুর রহিম প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২২, ০৪:০৫ এএম
দ্বাদশেও নতি স্বীকার!

প্রায় ১৪ বছর ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। দেশান্তর তারেক জিয়া। লন্ডন থেকে রিমোট কন্ট্রোলে চলছে দল। দীর্ঘ কারাবাসের পর শর্তে মুক্ত খালেদা জিয়া। নেতাকর্মী, আইনজীবী মিলে খালেদার জন্য কিছুই করতে পারেনি। সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ইস্যুতে দেখাল চূড়ান্ত দুর্বলতা। দেশ ও জনগণের সাথে সম্পৃক্ত শত শত ইস্যুতেও নীরবতা। সরকারকে নাড়া দেয়ার হাজারো ইস্যু জলে ডুবাল। মানুষের কাছে যাওয়ার ভূমিকা কার্যত ব্যর্থ।

পরিপাটি রাজনীতির পেয়ালা তৈরিতে সবসময় অন্যের কাঁধে ভর। মূল মেরুদণ্ডের ওপর কোনো ভরসা নেই। দ্বাদশ নির্বাচনেও রোগাক্রান্ত চিন্তা। দলের স্টেডিয়াম থাকলেও পরীক্ষিত খেলোয়াড়দের ওপর ভরসা রাখতে পারছে না। অতৃপ্ত নেতৃত্ব শুশ্রূষা। বিশেষ মহলের কাছে শর্তবিহীন নতি স্বীকার। দলের জনপ্রিয়তার সাম্রাজ্য থাকলেও নেই সম্রাজ্ঞী। নেতৃত্বের কাঁটায় রক্তক্ষরণ। আক্রান্ত নিঃশ্বাসে অসুস্থ দল। সরকারের দুর্বল সময়ে রহস্যে নীরবতা।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে ড. কামাল হোসেনকে নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে খালেদা জিয়ার রাজনীতির চূড়ান্ত সমাপ্তি ঘটে। দ্বাদশেও চলছে পুরোনো ছক। দলের নেতাকর্মীদের ওপর কোনো আস্থা নেই। সরকারকে চাপ দেয়ার ভাবনা নেই। তিনটি বিশেষ দেশের ব্যবসায়িক স্বার্থে হিমশীতল ভূমিকায়। সরকারকে দমিয়ে দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার ৯০ ভাগ সুযোগ থাকলেও সেই পথ এবারও গ্রহণ করছে না।

একাদশের মতো দ্বাদশেও তৃণমূল ও মাঠপর্যায়ের নেতাদের বাদ দিয়ে ঐক্যপ্লানে হাঁটছে। বলা হচ্ছে— জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। কিন্তু সেই সরকারের নেতা কে হবে তা চূড়ান্ত করছে না। এটি ঝুলিয়ে রেখে গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করা হচ্ছে। যদিও মুখে মুখে খালেদা জিয়ার কথা বলা হচ্ছে তবে মৌলিকভাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম হাঁটছেন অন্য ভাবনায়। খালেদা জিয়ার অধ্যায়ের সমাপ্তি অপেক্ষায় বিএনপির একাংশ হাঁটছে অন্যপথে। দলে একক ক্ষমতার জন্য শত সুযোগও কোরবানি দেয়া হচ্ছে।

এ দৃশ্যপটে এদিকে যুগপৎ আন্দোলন নিয়েও কারো ভরসা নেই। বামপন্থিসহ সবাই বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। বিএনপির ওপর ভরসা হারিয়ে ফেলছে রাজনৈতিক দল ও দেশের বেশির ভাগ মানুষ। সবার কাছেই এখন স্পষ্ট বিএনপির কাছে পরীক্ষিত নেতা, তৃণমূলের শক্তি, জনগণের গুরুত্ব উপেক্ষিত।

বিএনপি হাঁটছে একক নেতৃত্বের লোভে। বিএনপি নামক দলটি কয়েকজন নেতার কারণে সংগঠনে পরিণত হচ্ছে বলেও দল থেকে অভিযোগ উঠছে। এবার দ্বাদশ নির্বাচনেও যে বিএনপি চূড়ান্ত ভুল পথে ও অন্যর প্রেসক্রিপশনে রয়েছে তা বুঝতে পেরে দেশের রাজনৈতিক দল ও নেতাকর্মীরা আগে থেকেই দূরে সরে যাচ্ছেন।

৫০ আসনের স্বপ্ন : বিএনপির পাঁচ নীতিনির্ধারণী ফোরামের সাথে কথা হয় আমার সংবাদের। চলমান ভূমিকা নিয়ে দলের কর্মসূচি নির্ধারণ করা নেতাদের ওপর অনেকের ক্ষোভ। খালেদা জিয়া ইস্যু, দেশের রাজনৈতিক ইস্যুতে দলের ভূমিকা একেবারেই দুর্বল। ক্ষমতাসীন সরকার ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে সন্তুষ্ট করে আবারও ক্ষমতায় যাওয়ার সব কিছু বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে। দলের নেতাকর্মীদের ওপর ভরসা রাখছে। অন্যদিকে বিএনপি তৃণমূল, মাঠপর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের ওপর কোনো আস্থাই রাখছে না। খালেদা জিয়ার জীবন্ত অবস্থায় দলের একটি অংশ ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণ করতে চাচ্ছে না। কোনোভাবেই খালেদা জিয়ার অনুসারীরা দলে শক্তিশালী হোক তা তারা চাইছেন না। তাই আরো কিছু সময় সমঝোতার রাজনীতিতে হাঁটছে বিএনপি। কোনোভাবে যদি বিএনপি নেতৃত্বের স্বাদ পেয়ে যায় তাহলে খালেদা জিয়া আবার দলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। খালেদা জিয়ার অনুসারীরা মজবুত হয়ে যাবে। এটি কোনোভাবেই দলের একটি অংশ চাচ্ছে না। এ জন্য হিসাবের ফলও ডুবিয়ে দিচ্ছে। গত একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৭০ আসনের সমঝোতায়ও বিএনপি রাজি হয়। সরকারের দরবারে যাওয়া হয়। বেলা শেষে সেটি দাঁড়ায় মাত্র সাতটি আসনে। এবার নির্বাচনেও পুরোনো সংখ্যায় সমঝোতা চলছে। দলের একটি অংশ থেকে ধারণা করা হচ্ছে— এবার সরকার আর অতীতের মতো কঠোর হবে না। ৫০ আসনের মতো ছাড় দেয়ার চিন্তার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। আপাতত খালেদার অধ্যায় পর্যন্ত এটিতে সন্তুষ্ট থাকবে।

বিএনপির ওপর অনাস্থায় ছায়া সংসারে ভাঙন : বর্তমানে জনগণের যে পরিস্থিতি ঘরে ঘরে দুর্ভিক্ষ। জনগণের ইস্যুর সাথে বিএনপি হাওয়া লাগাতে পারছে না। দলটি মনে করছে সরকার চাচ্ছে বিএনপি আন্দোলন করুক। এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হোক। এটি বুঝতে পেরে সভা-সেমিনার প্রেসরিলিজের মাধ্যমে মতামত জানাচ্ছে। জনগণের জন্য বলিষ্ঠ কোনো ভূমিকা পালন করতে পারছে না। বিএনপির রাজনৈতিক ভূমিকা থেকেও দুর্বল হয়ে গেছে। ২০ দলকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। সেটিও প্রায় নিষ্প্রাণ। অন্যদিকে ড. কামাল  হোসেনকে নিয়ে গড়ে তোলা ঐক্যের সংসারও তছনছ। এমন পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচনে বিএনপির ছায়া সংগঠনগুলো আস্থা হারিয়ে ফেলছে। সবাই সবার রাজনৈতিক ইমেজ ধরে রাখার চেষ্টা করছে। বিএনপির ঐক্যতে এখন আর কারো আস্থা নেই। কারণ দলটি এখন তার নিজেদের নেতাকর্মীদের ওপরও ভরসা রাখছে না। যে দল তার অস্তিত্ব অস্বীকার করে, শক্তিকে ভুলে যায় অন্যের দেখানো স্বপ্নে— সেই দলের মানুষের জন্য ভূমিকা পালন করা অসম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি গঠন করে ঐক্যফ্রন্ট। তখন বিএনপির মঞ্চ থেকে শেখ মুজিবকেও নেতা মানতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান ড. কামাল হোসেন। বিএনপি এবারও জাতীয় নির্বাচনের আগে পুরোনো ছকের নতুনভাবে নাম দিয়েছে। এবার ঘোষণা জাতীয় সরকার। এই ফর্মুলাও অস্পষ্ট। বিএনপির বড় অংশও এটি ষড়যন্ত্র বলে মনে করছে। যাদের নিয়ে বিএনপি ঐক্যের চিন্তা করেছে তারা আগ থেকেই  সাতটি দল নিয়ে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামে নতুন জোট গঠন করেছে। এর মধ্যে আলোচিত যারা বামপন্থি রয়েছেন তারা তারেক জিয়াকে নেতা মেনে কেউ একত্রিত হবেন না। দেশের সচেতন মহল মনে করছে, বিএনপির ওপর ভরসা করে লাভ নেই। যারা দেশের রাজনীতিতে চোখ রাখবে তাদের নিজেদের মতো করে এগোনোই ভালো হবে।

বিএনপির সংসার থেকে আলাদা ঐক্যে : বিএনপি যে পথে হাঁটছে তা নিয়ে দলের বুদ্ধিজীবী অংশের ক্ষোভ। তাই খুব শিগগিরই কয়েকজন সাবেক ভিসি,  সাংবাদিক, লেখক, বয়োজ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ মিলে বিএনপি থেকেই একটি নতুন ঐক্যের ডাক দেয়া হতে পারে। দলের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের ভাষ্য, চলতি মাসের শেষের দিকে দেশের বাইরে তাদের একটি বৈঠক হবে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ভিসি, দু’-একজন সাংবাদিক, আরো কিছু গুণী ব্যক্তি থাকবেন। যারা সবাই বিএনপির আদর্শে বিশ্বাসী। বিএনপি থেকে আলদা একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা হবে ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপিকে বাঁচাতে। জনগণের কাছে বিএনপিকে জীবন্ত রাখতে।

২০ দল থেকে জামায়াত হাঁটছে নিজদের মতো : বিএনপির সংসারে থেকে জামায়াত দেশের রাজনীতিতে কিছু করতে পারবে বলে আর মনে করছে না। তা ছাড়া বিএনপিকে দুর্বল করার জন্য জামায়াতকে ভোটের আগে অনেক দৃশ্যপটের জন্ম হতে পারে বলেও ধারণা করছেন বিএনপির বেশ কিছু শীর্ষ নেতা। জামায়াত সেটি বুঝতে পেরে নিজেদের মতো করে আগ থেকেই মাঠ ঘুছাচ্ছে। স্বতন্ত্র নির্বাচনের চিন্তাও মাথায় রাখা হচ্ছে। জামায়াতের শীর্ষ দুই নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, ভোটের আগেই তারা দলের প্রার্থী চূড়ান্ত করছে। ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধশত আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তারা বিএনপির কাছে ১৫০টি আসন চাইবে। তা না দিলে তারা অন্তত ১৪০ আসনে স্বতন্ত্র নির্বাচন করবে।

২২ আগস্ট থেকে বিএনপির যেমন কর্মসূচি : গতকাল থেকে দেশের সব মহানগর, জেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে সভা-সমাবেশ ও মানববন্ধন শুরু করেছে বিএনপি। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে সাংগঠনিক জেলা কমিটিগুলোকে চিঠি দেয়া হয়েছে। জেলা পর্যায়ে যখন কর্মসূচি পালন করা হবে, তখন সংশ্লিষ্ট জেলার সাবেক সংসদ সদস্য ও অতীতে দলের মনোনয়ন পাওয়া নেতাদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একই সাথে দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও নিজ নিজ জেলার কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। জেলা পর্যায়ের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সমন্বয় এবং কর্মসূচি কতটা সফলভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে, তা পর্যবেক্ষণের জন্য সব বিভাগে কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে টিম গঠন করা হয়েছে। এদিকে দলের হাইকমান্ড থেকে সরকারের দুর্নীতি নিয়ে নিয়মিত কথা বলা হচ্ছে।

নেত্র নিউজের তথ্যচিত্র আয়নাঘর প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল প্রতিদিন কথা বলে যাচ্ছেন। সেখানে এখনো বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আটক আছে বলে দাবি করছেন। জ্বালানি তেল ও ইউরিয়া সারের মূল্যবৃদ্ধি এবং পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে ২৫ আগস্ট সারা দেশে আধাবেলা হরতাল ডেকেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এ হরতালে বিএনপির পক্ষ থেকে সমর্থন দেয়া হয়েছে।

এদিকে সমপ্রতি বিএনপির ঐক্যে প্রক্রিয়া নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, যারা একটু ধৈর্যহারা হয়ে গেছে তারা চাচ্ছে কী? জাতীয় সরকার। জাতীয় সরকারটা কী? তার কী রূপরেখা, কী তার তাৎপর্য। এখন এই জাতীয় সরকারের রূপরেখা কারা করছে, এটি আবার সরকারের কুটচাল কি-না আমাদের ধারণা নেই।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘আমরা  জাতীয় ঐকমত্যের  দিকে আগাচ্ছি। সবাই  অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে বলে একমত হচ্ছে। দেশের মৌলিক ইস্যুতে সবাই একমত থাকবে। দল থেকে কেউ দূরে সরে যাবে এমন কিছুর ভিত্তি নেই।’

দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির ঐক্য নিয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা ঐক্যে নিয়ে কাজ করছি। এ দানব সরকারকে সরাতে সবাই ঐকমত্য হচ্ছে। একটি পরিবর্তন চাচ্ছে। তাই সমমনা দলগুলোর সাথে আলোচনা চলছে। অনেকগুলো দল একত্রিত হয়েছে আমরা তাদের স্বাগত জানাই। সবাই মিলে যুগপৎভাবে আন্দোলন হবে।’

প্রধান নেতা কে হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের নেতা তারেক রহমান। আর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে একক নেতৃত্বের সম্ভাবনা খুব কম। সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কিংবা জোট আছে।  আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, প্রত্যেক দলে আলাদা আলাদা নেতা আছে।’

গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নামার বিকল্প নেই। তবে বিএনপির একার পক্ষে আন্দোলন করে দাবি আদায় কিংবা সরকার পতন অসম্ভব। তাই সব দল ও মতকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি বৃহত্তর পরিসরে আন্দোলনে নামতে হবে। একই প্লাটফরমে যার যার অবস্থান থেকেও করা যেতে পারে। অর্থাৎ যুগপৎ আন্দোলন। সবার লক্ষ্য হতে হবে একই। এ ব্যাপারে বড় দল হিসেবে বিএনপিকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। তবে সেই নেতৃত্ব তারেকের হাতে যাবে না। সে যতই চেষ্টা করুক না কেন, এটি জোটের কোনো দলই মানবে না। এ ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে না আসতে পারলেও খালেদা জিয়া নেতৃত্বে থাকলে কারোরই কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। আর খালেদা জিয়া যদি কোনোভাবে নির্বাচনের আগেই মুক্তি পেয়ে যান তাহলে দেশে পরিবর্তন চলে আসবে। এর জন্য তিন মাসও সময় লাগবে না।’