সাবিনাদের ট্রফির স্বপ্ন অধরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২, ০৪:৩৫ এএম
সাবিনাদের ট্রফির স্বপ্ন অধরা

সাফের আগের পাঁচ আসরের সবকটিতে খেলার অভিজ্ঞতা আছে সাবিনা খাতুনের। ২৮ বছর বয়সি এ ফরোয়ার্ড আরেকটি সাফ খেলার অপেক্ষায়। বয়সের হিসাবে সম্ভবত দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে মেয়েদের সর্বোচ্চ এ প্রতিযোগিতার এবারের আসরটি বাংলাদেশ অধিনায়কের শেষ আসর।

২০১৬ সালে শিলিগুড়ি সাফের ফাইনালে উঠেও ভারতের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ। ওই আসরে গ্রুপ পর্বে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ড্রই মেয়েদের সিনিয়র সাফে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য।

লড়াইয়ে কখনোই ভারতের সামনে দাঁড়াতে পারেননি সাবিনারা। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে গোধূলি বেলায় এসে দাঁড়ানো সাবিনাও জানেন সাফের শিরোপা জিততে হলে ভারত বাধা পার হতেই হবে। ৬ সেপ্টেম্বর নেপালের কাঠমান্ডুতে শুরু হবে মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ।

সমপ্রতি র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা মালয়েশিয়ার সঙ্গে দুই ম্যাচের সিরিজ জয়, দলের প্রস্তুতি এবং ম্যাচ খেলার সংখ্যায় অতীতকে ছাপিয়ে যাওয়ার আশা এ ফরোয়ার্ডের। অধরা ট্রফির স্বপ্নটি এবার যে পূরণ করতে চান সাবিনা।

গতকাল বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনেও কথায় আত্মবিশ্বাসী ফুটে উঠেছে বাংলাদেশ অধিনায়কের কণ্ঠে, ‘সাফ আমাদের জন্য বড় টুর্নামেন্ট, আমরা আশাবাদী। দলের পারিপার্শ্বিক দিক যদি দেখেন একজন খেলোয়াড় ও অধিনায়ক হিসেবে আমি আশাবাদী।

আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ জিততে চাই। ফাইনাল খেলতে চাই। নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে অবশ্যই শিরোপা জিততে পারব।’ বাংলাদেশের সাফ মিশন শুরু হবে ৭ সেপ্টেম্বর মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। আগামীকাল নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করার কথা গোলাম রব্বানী ছোটনের দলের।

সাবিনা, কৃঞ্চা রানী সরকার, সিরাত জাহান স্বপ্না, সানজিদা খাতুন ছাড়া ২৩ সদস্যের বাংলাদেশ দলের বাকি সব খেলোয়াড়ই বয়সভিত্তিক থেকে এসেছেন।

তবে অনেকের জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তাই নিজের দলকে অভিজ্ঞতায় কোনো অংশেই পিছিয়ে রাখছেন না সাবিনা। আর ভারতের সঙ্গে ফেভারিটের তকমাটা নেপালের গাঁয়েও। কারণ সাফের চারবার রানার্সআপ তারাও।

বাংলাদেশ নিজেদের গ্রুপ থেকে রানার্সআপ আর নেপাল চ্যাম্পিয়ন হলে ২০১৯ সালের মতো সেমিফাইনালেই দেখা হয়ে যাবে দু’দলের। আপাতত সেই চিন্তা মাথায় আনছেন না মেয়েরা। নিজেদের উজাড় করে দেয়ার প্রত্যয় লাল-সবুজের দলটির।