৩ অক্টোবরের পর প্রথম ডোজ বন্ধ

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২, ০১:৫৬ এএম
৩ অক্টোবরের পর প্রথম ডোজ বন্ধ

আগামী ৩ অক্টোবরের পর আর কোনো ব্যক্তিকে করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকা দেয়া হবে না। এরপর থেকে দ্বিতীয় ডোজ, বুস্টার বা তৃতীয় ডোজ দেয়া হবে। এছাড়া পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সি শিশুরা টিকা পাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন নিতে হবে। অন্যথায় ৩ অক্টোবরের পর আর প্রথম ডোজ নেয়া যাবে না।

এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, দেশে প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ এখনো করোনা টিকার প্রথম ডোজ এবং প্রায় ৯৪ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নেয়নি। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত দেশব্যাপী করোনা টিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজের বিশেষ ক্যাম্প শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

করোনায় আরও চারজনের মৃত্যু : করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকাল আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৯ হাজার ৩৫১ জন। একই সময়ে ৩৫০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২০ লাখ ২১ হাজার ১১৮ জন।

এ ছাড়াও বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ৩৫০ জন। এ নিয়ে দেশে সুস্থ হয়েছেন মোট ১৯ লাখ ৬২ হাজার ৫১৪ জন রোগী। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর স্বাক্ষরিত করোনা বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, একদিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ১২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ১০ শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনায় ২৯ হাজার ৩৫১ জন মানুষ মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ৭৩৬ জন ও নারী ১০ হাজার ৬১৫ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, রাজধানীসহ সারা দেশে ৮৮১টি আরটিপিসিআর, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট ল্যাবে গতকাল দুই হাজার ৬৬৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয় দুই হাজার ৬৬৮টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল এক কোটি ৪৮ লাখ ৪৮ হাজার ৩৩টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯৭ লাখ ৮৬ হাজার ৭৬৯টি নমুনা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫০ লাখ ৬১ হাজার ২৬৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।