নিত্যপণ্যের সংকট

নতুন দামেও মিলছে না তেল-চিনি

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২২, ০১:০৩ এএম
নতুন দামেও মিলছে না তেল-চিনি

নিত্যপণ্যের বাজারে তেল ও চিনি সংকটের মধ্যেই দাম বেড়েছে পণ্য দুটির। বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১২ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম কেজিতে বাড়ানো হয়েছে ১৩ টাকা। যা ১৭ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। তবে কার্যকর হওয়া বাড়তি দামেও বাজারে মিলছে না তেল-চিনি। ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে এর চেয়েও বাড়তি দামে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর রায়ের বাজার ও আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খোলা বাজারে নির্ধারিত দাম থেকে ১০ টাকা বেশি এবং পাইকারি বাজারে তিন-পাঁচ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে তেল-চিনি। রায়ের বাজারের সিদ্দিক স্টোরের কর্মী নাদিম ইসলাম বলেন, খোলা সয়াবিন তেল পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৮৮-১৯০ টাকায় এবং খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১৯৫-২০০ টাকায়।

অন্যদিকে বোতলজাত সয়াবিন তেল গায়ে থাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে দুই লিটার ৩৫৫ টাকা এবং পাঁচ লিটার ৮৮০ টাকায় আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। নতুন দামের তেল এখনো বাজারে আসেনি। হয়তো কাল-পরশু নতুন দামের তেল বাজারে পাওয়া যাবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা পাইকারিতে খোলা চিনি বিক্রি করছি ১১০ টাকা কেজি দরে। তবে খুচরায় অনেকে ১২০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি করছে। বুদ্ধিজীবী রোডের একটি দোকানের দোকানি রাজীব বলেন, আমরা খোলা তেল ১৯৫ টাকা লিটার এবং খোলা চিনি ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। বোতলজাত তেল ও প্যাকেটজাত চিনি গায়ের দামে বিক্রি করছি।

এদিকে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ১৬ নভেম্বর সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়। বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনও ওই দিনই মন্ত্রণালয়কে জানায়, চিনির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এর আগে দাম বাড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সাথে একাধিকবার বৈঠক করে দুটি সংগঠনের নেতারা। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত ১৭ নভেম্বর থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৯০ টাকা। আগে এ দাম ছিল ১৭৮ টাকা। এছাড়া ৮৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৪৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ৯২৫ টাকা।

অন্যদিকে খোলা সয়াবিনের দাম লিটারে ১৪ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৭২ টাকা। যা আগে ১৫৮ টাকায় বিক্রি হতো। আর প্রতি লিটার খোলা পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১২১ টাকায়। অন্যদিকে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনির দাম ১৩ টাকা বেড়ে হয়েছে ১০৮ টাকা। আগে দাম ছিল ৯৫ টাকা। তবে আরও আগেই বাজারে চিনির দাম শতক ছাড়িয়ে গেছে।

বাজারে দেখা দিয়েছে চিনির সংকটও। নতুন দাম অনুযায়ী, ৫০ কেজির চিনির বস্তার দাম হয়েছে পাঁচ হাজার ১০০ টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ১০২ টাকা। তবে বাজারে নির্ধারিত দামে কোথাও তেল-চিনি বিক্রি করতে দেখা যায়নি। এ ছাড়া বাজার ঘুরে কোনো কোনো দোকানে তেল পাওয়া যায়নি।