ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পাওয়ার প্লান্টের গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় কারখানাগুলোতে উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কিছু কারখানায় জেনারেটর ব্যবহার করে উৎপাদন সচল রাখার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। যদিও ৩০ ভাগ কারখানা বন্ধ রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক শরীফুল ইসলাম।
এর আগে গত সোমবার দুপুরে ডিইপিজেডের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পাওয়ার প্লান্টের গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় রপ্তানিকরণ অঞ্চলে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে।
ডিইপিজেড সূত্রে জানা যায়, ডিইপিজেডের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় গত সোমবার দুপুর ১টার দিকে ডিইপিজেডে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তবে ৭০ ভাগ কারখানা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তাদের উৎপাদন কার্যক্রম সচল রেখেছেন। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবারও প্রায় পাঁচটি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পাওয়ার প্লান্ট থেকে ডিইপিজেডে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। তারা তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে গ্যাস নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতেন। তবে বিল বকেয়াসংক্রান্ত কারণে গত সোমবার দুপুরে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটিতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে ডিইপিজেডে নেমে আসে বিদ্যুৎ বিপর্যয়।
ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক শরীফুল ইসলাম বলেন, গতকাল মঙ্গলবার সকালেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। সকাল ৯টা পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ থেকে (আরইবি) অল্প পরিমাণের সাপোর্ট পাওয়া যায়, যা দিয়ে কারখানাগুলো চালানো সম্ভব হয়নি। বর্তমানে আমরা ২৫ থেকে ২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছি। এতে প্রায় ৭০ ভাগ কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম চলছে। আমরা আরইবি থেকে ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের আশা করছি। ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেলে ৯০ ভাগ কারখানায় উৎপাদন চালু করা সম্ভব হবে। তবে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না।
শরীফুল ইসলাম আরও বলেন, তিতাসের সঙ্গে ইউনাইটেডের বকেয়া নিয়ে দীর্ঘদিনের সমস্যা চলছে। তিতাস বলছে বিল বকেয়া রয়েছে অপর পক্ষ বলছে কোনো ধরনের বিল বকেয়া নেই। এটাতে ভোগান্তিতে পড়েছে ডিইপিজেডের কারখানাগুলো। এতে করে উৎপাদন ও রপ্তানির ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো সময় মতো রপ্তানি করতে পারবে না।
ডিইপিজেডের ইউনাইটেড পাওয়ার প্ল্যান্টের ব্যবস্থাপক মমতাজ হাসান বলেন, সমস্যা সমাধানে প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চলছে। আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।