গোপালগঞ্জে কারফিউ বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক   প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২৫, ১২:২৩ এএম
গোপালগঞ্জে কারফিউ বহাল
  • যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ১৬৪
  • পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, আসামি ৫৭৫ জন

গোপালগঞ্জে ফের কারফিউর সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বহাল থাকবে। এদিকে কারফিউ চলাকালে গোপালগঞ্জে এখন পর্যন্ত ১৬৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

এর আগে শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল করা হয়েছিল। বুধবার রাত ৮ থেকে কারফিউ জারি করা হয়। কারফিউ শিথিলের সময় গোপালগঞ্জ শহরে বিভিন্ন যানবাহন চলতে দেখা যায়। জরুরি দরকারে গন্তব্যে যান মানুষ। মূল সড়কের পাশে ও গলির ভেতর বেশ কিছু দোকান খুলেন ব্যবসায়ীরা। তবে মার্কেটগুলো বন্ধ ছিল। বাজারের বেশিরভাগ দোকান খোলেনি। 

শহরের বড় বাজারের ফল ব্যবসায়ী রতন সাহা বলেন, দোকান খুলতে না পাড়ায় মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছি। তিন দিনে প্রায় ৩০ হাজার টাকার ফল পচে গেছে। শুক্রবার তিন ঘণ্টার জন্য দোকান খুলেছি। কিন্তু এ সময় আর কতটুকু বিক্রি করা যায়। আমরা চাই, দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসুক। 

এর আগে গত বুধবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ। পুলিশের সঙ্গে চলে দফায় দফায় সংঘর্ষ, জারি করা হয় কারফিউ। এখনো সেখানকার পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। চলছে যৌথবাহিনীর অভিযান, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৬৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে সদর থানায় ৪৫ জন, মুকসুদপুর থানায় ৬৬ জন, কাশিয়ানী থানায় ২৪ জন, টুঙ্গিপাড়া থানায় ১৭ জন এবং কোটালীপাড়া থানায় ১২ জন। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে গোপালগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা, মারপিট ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। 

গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আহম্মেদ আলী বিশ্বাস নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত সাড়ে ৪০০- ৫০০ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন। 

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান শুক্রবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

ওসি জানান, ১৬ জুলাই সকালে এনসিপির পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট আঞ্চলিক সড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুরে পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল।

এ সময় নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের নেতৃত্বে একদল লোক পুলিশের ওপর হামলা করে। তারপর তারা পুলিশ সদস্যদের মারপিট ও গাড়ি ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় পুলিশের পরিদর্শক আহম্মেদ আলী বিশ্বাসসহ ৫ পুলিশ আহত হন।