Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

২০ বছর ধরে বাবার কয়েদখানায় ধর্ষিত মেয়ের গল্প

বিনোদন ডেস্ক

জানুয়ারি ২৩, ২০২২, ১০:৪০ এএম


২০ বছর ধরে বাবার কয়েদখানায় ধর্ষিত মেয়ের গল্প

বাবা হলেন বট বৃক্ষ। যার নিচে দাঁড়িয়ে প্রতিটি সন্তান নিরাপদ সকল প্রকার বিপদ থেকে। বাবা হলেন নির্ভরতার সেই বিশাল আকাশ, যার হাত ধরে পাড়ি দেওয়া যায় সাত সমুদ্র। কিন্তু ১৮ বছর বয়সী এলিজাবেথ ফ্রিটজেলের জীবনের সবচেয়ে বড় খল নায়ক ছিল তার বাবা। রক্ষকই ছিল তার ভক্ষক। ২৪ বছর ধরে চিড়িয়াখানায় বন্দী প্রাণীদের চেয়েও মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হয় এলিজাবেথ ফ্রিটজেল। দুই যুগ ধরে নিজের বাবার কাছেই প্রায় ৩,০০০ বার ধর্ষণের শিকার হওয়া এলিজাবেথের ভাষ্যমতে তার বাবারূপী জানোয়ারটি কেবলই একজন ‘ইনসেস্ট মনস্টার’। নিজের মেয়ের জীবন নরকে পরিণত করা সেই দানবটির নাম জোসেফ ফ্রিটজেল।

এইটি কোনো সিনেমা কিংবা উপন্যাসের গল্প নয়। এটি একটি মেয়ের বাস্তব জীবনের গল্প। আর এই গল্প নিয়েই নির্মিত হয়েছে গার্ল ইন দ্যা বেসমেন্ট সিনেমাটি।

গল্পের শুরু হয় একটি পরিবার নিয়ে। রাতে একসাথে ডিনার করছে বাবা মা আর তাদের দুই মেয়ে এমি এবং সারা। এই সময় সারা তার বাবার কাছে রিকোয়েস্ট করে যাতে তাকে ওই রাত্রে একটি পার্টিতে যেতে দেওয়া হয় তবে বাবা সেখানে যেতে বারণ করে। সারা তবুও যাওয়ার জন্য বায়না করলে জোর গলায় ওকে নিজের ঘরে ঢুকে যেতে বলে। তারপর ওই দিন রাত্রে মেয়েটি ওর বয়ফ্রেন্ড ক্রিজের সাথে চুপিচুপি চলে যায় ওই পার্টিতে তবে ওর মা যখন রাতে ওর সাথে দেখা করবে বলে ওর রুমে যায় তখন ওকে রুমে দেখতে না পেয়ে তার বাবাকে সেই কথা বলে দেয়।

অপরদিকে সারা তার বয়ফ্রেন্ড দুজনে বেশ কিছু ভালো মুহূর্ত ইনজয় করে। পরদিন সকালে সারা চুপচাপ আবারো সেই জানালা দিয়ে নিজের রুমে যেতে চায়। আর তখন তার বাবা সারা কে আটকে দেয় এবং অনেক খারাপ খারাপ ভাষায় কথা বলে। আর তখন তার বোন সেখানে আসে এবং সারা কে বাঁচিয়ে নেয়। 

এমি আর সারা আইডেন্টিটি একটি রুমে বসে কিছু আলোচনা করছে, সেই সময় সারা বলে যে ওর ১৮ বছর বয়স হলেই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে কারণ সে এরকম অভদ্র বাবার সাথে থাকতে পারবে না। এইসব কথা বাবা লুকিয়ে লুকিয়ে শুনে নেয় আর তারপর সে ঘরের একটি বেসমেন্টে যায়। যেখানে একটা সিক্রেট রুম আছে যেটার না আছে কোন জানালা আর না আছে কোন হাওয়া বাতাস ঢোকার জায়গা।

এদিকে সারা গ্রাজুয়েট হয়ে যায় এবং ও ১৮ বছর বয়স হওয়ার প্রায় কাছাকাছি পৌছে যায়। একদিন সারার মা শপিং করার জন্য বাড়ির বাইরে চলে যায় এবং এদিকে বাড়িতে সারা আর তার বাবা একলা হয়ে যায়। এই সময় সারার বাবা তাকে বলে যে তার কিছু কাজে ওকে হেল্প করতে। সারাও তাকে হেল্প করে আর ওরা দুজন মিলে একটা বড় সাইজের বক্স সেই বেসমেন্টের সিক্রেট রুমে নিয়ে যায়। এদিনই সারা প্রথম এই ঘর টাকে দেখে। তখন সারা ওর বাবাকে জিজ্ঞাসা করে এই রুম টার ব্যাপারে। তার বাবা  বলে কোনো এক যুদ্ধের সময় এটি বানানো হয়েছিল যেন এখানে কিছু আর্মির সদস্য আশ্রয় নিত পারে এবং বোমা হামলা থেকে রক্ষা পেতে পারে।

কথা বলতে বলতে এক সময় সারার বাবা তাকে রুমে লক করে দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যায়। সারা অনেক চিৎকার করা সত্ত্বেও ওই রুমের বাইরে একটুও পৌঁছায় না কারণ ওটা একটা ভয়েস নিরোধক ঘর ছিল। 

সারা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারে না যে ওর সাথে আসলে কি হচ্ছে আর কেনইবা ওর বাবা ওর সাথে এরকম করছে। তারপর সে ওই বক্সটা ওপেন করে আর দেখতে পায় যে ওই বক্সে তার ব্যবহারের জন্যই বেশ কিছু জিনিসপত্র রাখা রয়েছে। 

সারা অনেক কান্নাকাটি করে এবং ওখানে আটকানো সিকিউরিটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে দরজা আনলক করার চেষ্টা করে কিন্তু সেখানে তিনবার ফেল হয়ে যাওয়ার কারণে ওই রুমের সমস্ত লাইট অফ হয়ে যায় আর ভেন্টিলেশন সিস্টেম অফ হয়ে যায় যার ফলে তার নিঃশ্বাস নিতেও প্রবলেম হওয়া শুরু হয়ে যায়। 

এদিকে তার বান্ধবীরা অনেকবার তাকে খোঁজার চেষ্টা করে। ওর চারজন বন্ধু কেউ কল করে কিন্তু সারার ব্যাপারে কোনো রকমের ইনফর্মেশন পায় না । এভাবে চার দিন কেটে যায় তারপর বাবা আবার ওই রুমে আসে তখন সারা তাকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়ে বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করে কিন্তু ওই দরজার পরেও আরো একটা দরজা থাকায় সেখানে আটকে যায় সারা। তখন বাবা কাছে এসে ওর চুল ধরে টেনে নিয়ে আবারও ওই রুমে নিয়ে যায়। 

তারপর তাকে বলে, যে এই সবকিছুই শুধুমাত্র তাকে অসম্মান করার সাজা আর তুমি এখানে ততক্ষণ তালাবদ্ধ হয়ে থাকবে যতক্ষণ না তুমি আমাকে সম্মান করতে শিখে যাও।  তারপর সারাকে প্রচণ্ড মারধর করে। শুধু তাই নয় তারপর তাকে রেপ করে তার বাবা। 

এদিকে সারার মা সবকিছু পুলিশে জানান। সেখানেও বাবা সবকিছু অনেক ভালোভাবে ম্যানেজ করে। এমনভাবে পুলিশের সামনে কথা বলে যেন সারা নিজের ইচ্ছায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে চলে গেছে। তবু ইন্সপেক্টর তাদের রিপোর্ট নোটিশ করে নেয়। 

পুলিশের ইনভেস্টিগেশন এর প্রভাবে সারার বয়ফ্রেন্ড বিরক্ত হয়ে সারা কে খুঁজতে সারার বাড়িতে চলে আসে। আর সেখানে সারার বাবার এর সাথে দেখা করেন। সারার বাবা তাকেও মিথ্যা কথা বলে, যে ওর ছোটবেলার বন্ধুদের সাথে বাড়ি থেকে বেরিয়ে চলে গেছে আর ওরা দুজনেই ভালো করে জীবন কাটাচ্ছে।

এদিকে সারা রুমে বন্ধ প্রায় ২১ দিন পার হয়ে গেছে এবং সে ১৮ বছর বয়সে পা রাখতে চলেছে। যে কারণে তারা বাবা একটি কেক এবং লাল রং এর হট ড্রেস এনে তাকে পরতে বাধ্য করে। তারপর সারা ওই ড্রেসটা পড়ে তার বাবা সামনে এলে বাবা তার মেয়ের শরীরের গঠন বিচার করে, আর সারা কাছে ডনের ঐরকম আদেশ মেনে চলা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। 

সারার এমন আচরণের কারণে তার কিছু কথা মেনে নিয়ে তার বাবা ওই রুমের দেয়ালে একটি ঘড়ি আটকে দেন। ৩৮ তম দিনে সারা যখন একটি কৌটো থেকে খাবার বের করে খেতে যাবে তখন ওই কৌটোতে বেশ ধারালো প্রান্ত খেয়াল করে আর কিছু আইডিয়া করে। সেটিকে ব্যবহার করে কোনরকমে একটি হাতিয়ার তৈরি করে ফেলে তারপর যখন তার বাবা  রুমে আসে তখন সারা ওই হাতিয়ার দিয়ে তার বাবাকে আঘাত করতে চায়। কিন্তু ও ফেল হয়ে যায় তাই তার বাবা তাকে  আবারও প্রচন্ড মারে। 

আর সারাকে আগের থেকে অনেক দুর্বল করে দেয় এই ভাবেই অনেকটা সময় কেটে যায় আর পার হয়ে যায় ৩৪৮ দিন। সারা এখন প্রেগন্যান্ট। তার লেবার পেইন শুরু হয়ে যায়। একটি বইতে ডেলিভারির উপায় দেখে এবং কারোর হেল্প ছাড়াই নিজে একটি বাচ্চা মেয়ের জন্ম দেয়।

এভাবে ৪ বছর কেটে যায়। এদিকে তার মেয়ে বড় হতে থাকে আর একদিকে সারা আবারো প্রেগনেন্ট হয়ে যায়। সেই সময় সারা তার বাবাকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে বাচ্চাদের এখন বের করে দেওয়ার জন্য।  

কিন্তু বাবা এতে রাজি না হয়ে ওখান থেকে বেরিয়ে চলে যায় । ওপরে তার বাবা তার ছোটমেয়ের সাথে ডিনার করতে আসে যেখানে সারার মা তার স্বামীকে রিকোয়েস্ট করে আর বলে যে এবার সারা কে খোঁজার জন্য একজন প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর হায়ার করতে।

এ কথায় সারার বাবা তাদের উপরে রেখে উঠে গিয়ে ডিনার টেবিল থেকে উঠে চলে যায়।  এবার সারা বাবা সারার বেসমেন্ট এ একটি টিভি উপহার দেন। উপহার অনেক খুশি হয়ে সারা নিজের মেয়েকে নিয়ে টিভি দেখতে শুরু করে দেয়। এদিকে সাত বছর কেটে যায় সারার মা সারার খোঁজ করেই চলে। কিন্তু না আসে সারা আর না আসে সারার কোনরকমের খবর।

আর অন্যদিকে সারা ওই রুমেই বন্দি থেকে যায়। এদিকে সারার বাচ্চা মেরি এবং মাইকেল বেশ বড় হয়ে গেছে। একদিন মেরির শরীর খারাপ হয়ে পড়ে আর সারার বাবা মেরির জন্য ওষুধ নিয়ে ওই রুমে আসে। সারা ওর বাবাকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে যে মেয়েটিকে একজন ডক্টর দেখানোর প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু ওর কথায় কোন পাত্তা না দিয়ে ঔষধ ওর হাতে ধরিয়ে দিয়ে ওখান থেকে বেরিয়ে চলে যায়।

যখন মেরি তার মা সারাকে কিছু গল্প শোনাতে বলে তখন সারা মেরিকে নিজের জীবনের ব্যাপারে বলতে থাকে আর বলে, যে একজন রানী ছিল যে তার রাজার সাথে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল কিন্তু রানীর বাবা রানীর ডানা কেটে দিয়ে একটি গুহায় বন্দি করে দেয়। মেরি জিজ্ঞাসা করা বলে, যে এখনো হয়তো সেই রাজা রানী কে খুঁজে চলেছে।

এদিকে ক্রিস এমির সাথে দেখা করে আর এমি ওকে বলে সারা কোন স্টিভ নামের কাউকে চেনেই না। আর সাথে এটাও বলে যে এমির ওর নিজের বাবার ওপরে সন্দেহ হয়। আর মনে হয় যে বাবাই সারার কিছু করে দিয়েছে।

এমি ঘরে তার বাবার মুখোমুখি সবকিছু বলে। যার ফলে সেখানে একটু কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়। সারার বাবা সারার মা আইরিনের সাথে ঘরে ঢুকে যায়। আর বেসমেন্টের চাবি ওই সোফাতেই পড়ে থাকে এমি ওই চাবিগুলো নিয়ে বেসমেন্টে চলে যায় এবং সার্চ করতে শুরু করে দেয় আর তখন সেখানে বাবা চলে আসে আর এমির ওপর খুব খারাপ আচরণ করে ওকে ওখান থেকে উপরে পাঠিয়ে দেয়।

এদিকে মেরি আর মাইকেলের যত বয়স বাড়ছে ওরা তত তাদের অবস্থার ব্যাপারে প্রশ্ন করতে শুরু করেছে। আর সারা তখন আবারো একটা বাচ্চার জন্ম দিতে চলেছে।  

তবু ওদেরকে বুঝিয়ে যতটা সম্ভব ওদের কাছে নিজেকে বেস্ট মায়ের পরিচয় করাচ্ছে। কিছুদিন পর সারা আবারো একটি বাচ্চার জন্ম দেয় আর ওর নাম রাখে থমাস।  তারপর সারার বাবা সেখানে এলে সারা ওকে বলে যে সারার পক্ষে এর চেয়ে বেশি বাচ্চা সামলানো সম্ভব হচ্ছে না এবং এই রুমে এতটা জায়গাও নেই যে আরও একটা বাচ্চা এখানে থাকতে পারবে। এই সমস্ত কথা বলে সারা ওর বাবাকে বোঝায়। প্রথমে রাজি না হলেও এক পর্যায়ে যেয়ে সে রাজি হয়। এই সময় সারা চালাকি করে ওই বাচ্ছার ঝুড়ির মধ্যে মায়ের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখে দেয়। থামাসকে ওদের বাড়ীর দরজার সামনে রেখে দেয় ওর বাবা। 

আর সারার মা যখন থমাসকে দেখতে পায়। তখন সে একটা চিঠি দেখতে পায় যেটাতে লেখা মা এটা আমার বাচ্চা। অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে আমি এই বাচ্চার দায়িত্ব নিতে পারছিলাম না। তাই আমি এখন এই বাচ্চাটাকে তোমার কাছে ছেড়ে যাচ্ছি। সারার মা মনে মনে অনেক আনন্দ পায় যাক সারা অন্তত বেঁচে আছে। সে  থমাসের দায়িত্ব নিয়ে নেয়। কিন্তু ঝুড়ির মধ্যে লুকানো চিঠিটা পরে সারার বাবার হাতে। তারপর সে বেসমেন্টের ওই রুমে গিয়ে সারার সাথে আবারো নোংরা ব্যবহার করে। এভাবে ১৪ বছর কেটে যায়। 

একদিন সারার বাবা ওই রুমে বসে আছে তখন সারা মাইকেলের চুল কাটছে। এই সময় সারার মেয়ে মেরি একটু মেকআপ করে সারার বাবার সামনে আসে। এই সময় সারার বাবা মেরিকে অন্যভাবে আদর করতে শুরু করে যেটা সারার একদম পছন্দ হয়না।  

তখন সারা তার মেয়েকে বাবার কাছ থেকে সরিয়ে দেয় আর বাচ্চাদের গায়ে হাত লাগাতে বারণ করে। তার বাবা রাগে ভেন্টিলেশন সিস্টেম বন্ধ করে দেয় ফলে মেরি  মন খারাপ করে বসে থাকে।  সারা মেরিকে জিজ্ঞাসা করায় বলে, যে সে রুম থেকে বের হতে চায় আর বাইরের দুনিয়ায় দেখতে চাই। 

সারা কে জিজ্ঞাসা করে যে কিভাবে সারার বাবার সাথে ওর পরিচয় হয়েছিল ছিল উত্তর সারা বলে যে আমি ওকে ছোটবেলা থেকেই জানতাম।  মেরি বলে এখান থেকে বেরোনোর পর থেকে তোমার ডিভোর্স নিয়ে নেওয়া উচিত। কারণ উনি কোনো দিক থেকেই একজন ভালো মানুষ নয়। 

এভাবেই ১৭ বছর পার হয়ে যায় এবং সারা আবারও প্রেগনেন্ট হয়ে যায়। একদিন প্রচন্ড বৃষ্টি পড়ছে তখন বেসমেন্টের ওই রুমে পানি ঢুকতে শুরু করে। সারা একটু উচু হয়ে সেখান দিয়ে দেখার চেষ্টা করে। সেই সময় সে দেখতে পায় বাইরে রাস্তা রয়েছে। সারা টর্চ লাইট ইউজ করা শুরু করে এই আশা করে যে কেউ তাকে সাহায্য করতে চলে আসবে। আর একজন ব্যক্তির দেখতে পায়। তবে ঐ ব্যক্তি না বুঝে বাড়ির কলিংবেল দেয় আর সারার বাবাকে প্রশ্ন করে কোনো সমস্যা আছে কী না। সে ওই ব্যক্তি কিছু একটা বুঝিয়ে বিদায় জানায়। 

এরপর সে রেগে বেসমেন্টে যায় এবং তাকে প্রচণ্ড মারধোর করে সারা প্রচন্ডভাবে আহত হয়ে পড়ে আর ব্লিডিং শুরু হয়ে যায়। মেরি কিছুই বুঝতে পারে না যে এবার সে কি করবে। সে এক জায়গায় বসে তার মায়ের চিৎকার শুনতে থাকে এবং নিজেও কাঁদতে থাকে এবার সারা একটি মরা বাচ্চার জন্ম দেয়। সারার বাবা ওই বাচ্চাটাকে মাটিতে পুঁতে দিয়ে আসে এবং এই ঘটনার পরে সারা প্রচন্ড ভেঙ্গে পরে। 

তারপর সারার বাবা আবার নিচে ওর কাছে আসে তখন সারার আচরণ দেখে বিরক্ত হয়ে পড়ে তখন মাইকেল সারার বাবাকে প্রশ্ন করে যে এখান থেকে মুক্তি পাবে কবে।

উত্তরে সে বলে যে এটা পুরোটাই তোমাদের মায়ের উপর ডিপেন্ড করছে কারণ যখন ও ভালো আচরণ করতে শিখে যাবে তখনই তোমরা সবাই এখান থেকে বের হতে পারবে। সারার বাবা ওখান থেকে যাওয়ার পর মাইকেল সারার সাথে খুব খারাপ আচরণ করতে থাকে। তবে সারা কাছে এসব প্রশ্নের কোন উত্তর তাদের জানানোর মতো ছিল না। তাই রেগে যায় আর সব জিনিসপত্র ভাঙচুর করতে শুরু করে।

তারপরও মাটিতে শুয়ে পড়ে ক্রিস এর সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো কে মনে করে ঘুমিয়ে পড়ে। ম্যারি আর মাইকেল রুমটাকে পরিষ্কার করে। তারপর সারা ঘুম থেকে ওঠার পর ওরা ওকে খাবার দেয় আর নিজেদের ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেয়। সারা ওদের বলে যে তোমরা এখন যথেষ্ট বড় হয়েছ আর তাই তোমাদের এবার সত্যিটা জানা উচিত। তারপর সারা ওদেরকে জানায় যে ডোন মানে ওর নিজের বাবা ওর সাথে কি কি করেছে। এসব শুনে ওরা দুজন হতবাক হয়ে পড়ে।

তবে সারা ওদের শান্ত হতে বলে। আর ওদের বলে যে ঠিক একদিন না একদিন আমরা তিনজন এখান থেকে বাইরে যেতে পারবো। যখন সারার বাবা নিচে এসে সারার সাথে আবার সাথে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করে আর মাইকেল তখন সারা বাবার উপর অ্যাটাক করে। কিন্তু সারা তাকে আটকে দেয় ডন তখন ওখান থেকে বেরিয়ে চলে যায়। এদিকে সারার বাবার চাকরি চলে যায় আর ঘরে আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ে। তার পক্ষে এত জনের দায়িত্ব নেওয়াটা খুবই মুশকিল হয়ে পড়ে।

তাই জন্য একদিন সারার বাবা ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে গাড়ির ধোঁয়া ওই রুমে ঢুকিয়ে ওদের কে মেরে ফেলার চেষ্টা কররে। কিন্তু তখন সেখানে থমাস চলে আসে যার ফলে ডন ফেল হয়ে যায়। 

২০ বছর পার হয়ে যায় আর এ মেরির হাঁপানি রোগে শরীর প্রচন্ড খারাপ হয়ে পড়ে। ওখানে সারার বাবা আসার পর সারা তাকে জোর করে, যে মেরীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাও নইলে কিন্তু এবার মরে যাবে। ফাইনালি সারার বাবার মনে একটু মায়া জাগে আর সারার সঙ্গে মেরিকে কেয়ার মেডিকেল নিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে যায় আর মাইকেলকে ওই রুমেই বন্ধ করে দেয়। 

এবার সেখানে সারার মেয়ে মেরিকে হসপিটালে ভর্তি করা হয় ( চিকিৎসা শুরু করে দেয়া হয় তবে ওর কন্ডিশন ধীরে ধীরে খুবই খারাপ হয়ে পড়ে ডক্টর সারার ও ডোন থেকে ডকুমেন্টস এ সাইন করাতে আসে যেখানে ডাক্তারের সাথে কোন রকম কথা বলতে দেয় না তার বাবা। 

সারা যখন একটু সুযোগ পায় তখন ওই কাগজের উপর জল ফেলে দেয়। ফলে সারার বাবা প্রচুর রেগে যায় এবং নতুন ডকুমেন্ট নিতে যায় তখন সারা তাড়াতাড়ি করে ডাক্তারের কাছে যায়। 

সারার বাবা তার পিছু করলেও তাকে ধরতে পারে না। তার আগেই সারা ডাক্তারের কাছে পৌঁছে যায়। সে ডাক্তারকে জড়িয়ে ধরে হেল্প চায়। 

সিকুরিটি গার্ড তখন সারার বাবাকে আটক করে নেয়। মেরির জ্ঞান ফেরার পর সারা ওকে বলে যে আমরা এখন মুক্ত। এরপরে পুলিশ ওই ঘর থেকে মাইকেলকে উদ্ধার করে নেয়। এর সাথেই শেষ হয় সারার দুর্বিষহ ২০ বছর।

আমারসংবাদ/এডি