Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫,

বিলুপ্তির পথে প্রাচীন কৃষি সেচ যন্ত্র ‘দোঙ্গা’

উজিরপুর (বরিশাল)

জানুয়ারি ২৯, ২০২১, ০৩:৩৫ পিএম


বিলুপ্তির পথে প্রাচীন কৃষি সেচ যন্ত্র ‘দোঙ্গা’

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে দেশের প্রতিটি শাখায় এখন আধুনিকায়নের ছোঁয়া। আর সেই আধুনিক প্রযুক্তির যান্ত্রিক সভ্যতার যাঁতাকলে দেশ থেকে বিলুপ্তির পথে প্রাচীন কৃষি সেচ যন্ত্র দোন কিংবা সেঁউতি (স্থানীয় ভাষায় দোঙ্গা)। 

টিন বা চাটাই দিয়ে তৈরি ঐতিহ্যবাহি এ দোঙ্গা আগেকার দিনে ফসলী জমিতে পানি সেচ ব্যবস্থায় ব্যবহার করা হতো। এক সময় গ্রাম বাংলার কৃষিতে সেচযন্ত্র হিসেবে দোঙ্গার ব্যাপক চাহিদা ছিলো। টিন বা বাঁশের চাটাই দিয়ে তৈরি দোঙ্গা দিয়ে খাল বা নিচু জমি হতে উপরে পানি তোলা হতো। আর উঁচু নিচু জমিতে পানি সেচ দিতে সেচযন্ত্র কাঠের দোঙ্গা ছিল অতুলনীয়। 

এটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকরা প্রাচীন যুগেই আবিস্কার করেছিল। কাঁঠাল গাছের কাঠের মাঝের অংশের কাঠ কেটে নিয়ে তার মধ্যে কাঠের ড্রেন তৈরি করে পানি সেচ ব্যবস্থা সম্ভব। এতে করে পানি সেচ দিতে শ্রমিক ব্যতীত অতিরিক্ত কোন প্রকার খরচ হয় না। 

বরিশালের উজিরপুরের জল্লা ইউনিয়নের মুন্সিরতাল্লুক গ্রামের কৃষক মুনসুর হোসেন (৬৫) জানিয়েছেন, দোঙ্গায় সেচ দেওয়া খুব মজার কাজ। একটি বাঁশের শক্ত খুঁটি মাটিতে পুঁতে তার সাথে লম্বা অন্য একটি বাঁশ বেঁধে এক অংশে দোঙ্গার মাথা অন্য অংশে মাটির ভরা (ওজন) তুলে দিয়ে পানিতে চুবিয়ে তুললে এক সাথে অনেক পানি উঠে আসে। এভাবে অনবরত পানি সেচ দিলে দ্রুত সেচের কাজ হয়। তাছাড়া এটি সহজে বহনীয়। 

উপজেলা সদরের আলহাজ্ব বি.এন. খান ডিগ্রী কলেজের একাদ শ্রেনির ছাত্র সিয়াম মোল্লা, অপু হোসেন, মো. নয়ন খানসহ অনেকে জানান, তারা কখনও দোঙ্গা দেখেনি। তবে বই পড়ে জেনেছেন, কয়েক যুগ আগে এটি কৃষি কাজে ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুব জনপ্রিয় ছিলো। 

আমারসংবাদ/এমএ