আইপির মেয়াদ শেষ হওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে টানা ২দিন ধরে বন্ধ রয়েছে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি। আমদানি বন্ধ থাকলে আগামী দিনগুলোতে পেঁয়াজের দাম বাড়তে পারে বলে ধারণা করেছেন ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে আমদানিকারকেরা বলছেন, হিলি স্থলবন্দর এলাকায় তাদের গোডাউন ও আড়তগুলোতে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা জানান, গত ৫ মে আইপি মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন করে আইপি অনুমোদন না দেওয়ায় দুই দিন ধরে এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে।। সরকার নতুন করে আমদানির অনুমতি না দিলে তারা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবে না তারা। এদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় ইতিমধ্যে বাজারে কিছুটা হলে দামের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুনুর রশীদ জানান, গত ২৯ মার্চ পেঁয়াজ আমদানির আইপি অনুমোদন শেষ হলেও রমজান মাসে বাজার স্বাভাবিক রাখতে সরকার ওই দিনই আবার আমদানির অনুমতি বাড়িয়ে দেয় ৫ মে পর্যন্ত। অর্থাৎ ভারত থেকে গত ৫ মে পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত ছিল। আড়তগুলোতে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে দাম বাড়বে না বলেও তিনি মনে করেন।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, গত ২৯ মার্চ থেকে ৫ মে পর্যন্ত ভারত থেকে ২০১টি ট্রাকে ৫ হাজার ৫৬২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।
আমারসংবাদ/এমএস