মিঠাপুকুরে জব্দকৃত গাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উধাও

রুবেল হোসাইন (সংগ্রাম), মিঠাপুকুর প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২২, ০৩:১৩ পিএম

মিঠাপুকুর উপজেলার ০৩ নং পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বর থেকে জব্দকৃত ইউক্যালিপটাস গাছ গেলো ১২ জুন দিবাগত রাতে চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নির্দেশে ইউপি- চৌকিদার, দফাদার গাছের খোঁজ খবর করছেন বলে জানিয়েছেন ০৩ নং পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুবার রহমান মাহবুব। 

এ নিয়ে কর্তনকৃত গাছের মালিক জিয়াউর রহমান ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরতদের দায়ী করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ৬ জুন ০৩ নং পায়রাবন্দ ইউনিয়নের শালাইপুর মৌজায় অবস্থিত খয়বার রহমান তার জমির পাশে কিছু ইউক্যালিপটাস গাছ তার নিজের দাবি করে বিক্রির উদ্দেশ্যে কর্তন করেন। গাছ কর্তনের খবর পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশে চৌকিদার ওয়াজেদ আলী ঘটনাস্থলে আসেন এবং ইউনিয়ন পরিষদের কমান্ডার গিয়াস উদ্দিনকে বিষয়ট অবগত করলে তিনি উক্ত স্হানে এসে তিনটি বিশালাকৃতির ইউক্যালিপটাস গাছ জব্দ করে ইউনিয়ন পরিষদ চলে যান। 

গাছের মালিক দাবিদার এবং গাছ ক্রেতা নোরশেদ মিয়া ভ্যানযোগে সেকেন্দার হাজির ছ'মিলে গাছগুলো নিয়ে যান এবং চৌকিদার-গনের সম্মুখে জব্দ তালিকা তৈরি করে বেলাল নামে ছ"মিল মিস্ত্রির কাছে জমা রাখেন। 

অঙ্গিকার নামায় উল্লেখ্য করা হয় সার্ভেয়ার দিয়ে সিমানা নির্ধারণ করার পর যদি জমির মালিক গাছ পায় তবে তাকে গাছ প্রদান করা হবে। আর ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তায় গাছ থাকলে সে অনুযায়ী ব্যবস্হা নেওয়া হবে। পরে গাছগুলো কৌশলে পরিষদে নিয়ে যাওয়া হয়।

গত ৯ জুন ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধি, জমির মালিকের উপস্থিতিতে সার্ভেয়ার দিয়ে জমির সিমানা নির্ধারন করা হলে জমির মালিক খয়বার রহমানের সিমানায় গাছগুলো পড়ে এবং তাকে গাছ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। কিন্তু ১২ জুন সকালে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে জমির মালিক দেখতে পান তার গাছগুলো নেই। পরে চেয়ারম্যান তাকে জানায় গাছগুলো রাতে চুরি হয়েছে। 

খয়বার রহমানের ছেলে জিয়াউর রহমান আমার সংবাদকে জানান, রাতেই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশে ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা গাছগুলো কৌশলে সরিয়ে ফেলেন এবং তাদেরকে জানান, গাছগুলোর খোঁজ খবর চলছে।

এ বিষয়ে পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমান মাহবুবকে ফোন দিলে তিনি জানান, গাছগুলো চুরি হয়েছে। ছ'মিলে রাখলে হয়তোবা চুরি হতো না। 

সচিব আনিছুর রহমান জানান, আমরা খোঁজ খবর করছি, আশাকরি একটা রেজাল্ট পাওয়ার কথা। পরিষদ থেকে কিভাবে গাছ হারায় জানতে চাইলে সচিব ফোন কেটে দেন। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমাতুজ জোহরা আমার সংবাদকে জানান, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেওয়া হবে। 

আমারসংবাদ/এআই