হাতিয়ায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি  প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২২, ০২:২৮ পিএম

আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বিভিন্ন স্থানে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেল এমন চিত্র। বাজার গুলো যথাক্রমে ওছখালী গরুর হাট, সাগরিয়া বাজার, জাহাজমারা বাজার, চরচেঙ্গা বাজার, আফাজিয়া বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে বসেছে এই গরুর হাট।

হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু আসতে শুরু করে। হাট গুলো কোরবানির পশুতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে।

হাটে বড়, মাঝারি ও ছোট সাইজের প্রচুর গরু উঠলেও দাম চড়া থাকায় অনেক ক্রেতা গরু না কিনেই বাড়ি ফিরেছেন। বিভিন্ন জেলার পাইকার ও দালাল থাকায় স্থানীয় ক্রেতারা পছন্দমতো গরু কিনতে পারেননি।

জানা গেছে, হাতিয়া পৌর এলাকায় অবস্থিত ধাপ গরুর হাট উপজেলার বৃহত্তম হাট হিসেবে পরিচিত। সপ্তাহে শুক্রবার ও সোমবার হাট বসলেও শুধু সোমবার গবাদি পশু কেনাবেচা হয়ে থাকে। তবে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দুই হাটবারেই গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া কেনাবেচা চলছে।

সোমবারে বিকালে উপজেলার বিভিন্ন হাটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রচুর কোরবানির পশু হাটে উঠেছে। মোটামুটি কেনাবেচা হয়েছে বলে ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন। তবে হাটে দেশীয় মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি ছিল। তাই এ জাতের গরুর দাম তুলনামূলক বেশি ছিল। হাটে সবচেয়ে বড় গরুর দাম হাঁকা হয়েছিল ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

কথা হয় হাটে গরু নিয়ে আসা কামাল উদ্দিন নামের একজন বিক্রেতার সাথে তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ান জাতের একটি বড় ষাঁড়ের দাম হেঁকেছেন সাড়ে ছয় লাখ ৩০ হাজার টাকা। ক্রেতারা ১লাখ ১০ হাজার টাকা বলেছেন।

হাট গুলোর ইজারাদারগন জানিয়েছেন, হাটের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ক্রেতা ও বিক্রেতারা যাতে প্রতারিত না হন সে জন্য মাইকে প্রচারণা চালানো হয়।

কেএস