ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা, অস্ত্রসহ আটক ৮

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২৩, ০৮:৫৪ পিএম

সিরাজগঞ্জের তাড়াশের দেশীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুস হত্যার ঘটনায় অস্ত্রসহ সর্বহারা দলের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ গোয়েন্দা। 

শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশ সুপারের অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন (বিপিএম, পিপিএম) এ তথ্য জানিয়েছেন। 

গ্রেপ্তাররা হলেন- পাবনা জেলার চাটমোহর থানার বাঙ্গালা পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত আমির সরকারের ছেলে জহুরুল ইসলাম তুষার(২৫), দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী থানার সুজাপুর বানিয়াপাড়া গ্রামের বিকাশ মহন্তের ছেলে বিশ্বনাথ মহন্ত (৩২), সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার সুজাদক্ষিনপাড়া গ্রামের মৃত গফুর মোল্লার ছেলে শহিদুল ইসলাম(৪০), জেলার রায়গঞ্জ থানার কৃষ্ণপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত গকুল চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী বলরাম চন্দ্র দাস (৩৮), তাড়াশ থানার গুরপিপুল গ্রামের মৃত শংকর চন্দ্র দাসের ছেলে উত্তম চন্দ্র দাস (৪০), টাংগরা দক্ষিনপাড়া গ্রামের মৃত জুরান উদ্দিনের ছেলে রহমত আলী (৩৮), দেওঘর গ্রামের মৃত গোনেস উরাওয়ের ছেলে শ্রী সুনীল উরাও(৪৫) ও পাবনার কাটাখালী পূর্বপাড়া গ্রামের আমির সরকারের ছেলে রহমত আলী(৪৫)।

চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় তাড়াশ উপজেলার ভোগলমান বাজারে শত শত লোক সমাগমের মধ্যে মুখোশধারী আগ্নেয়াস্ত্র বহনকারী ১৪-১৫জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী গুলি করে আব্দুল কুদ্দুস সরকারকে হত্যা করে। এসময় তারা বাজারে পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির লিফলেট এবং সর্বহারা পার্টি জিন্দাবাদ স্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঘটনায় ২০ ফেব্রুয়ারি তাড়াশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

রেঞ্জ ডিআইজি আরও জানান, শনিবার ভোররাতে তাড়াশ দেশীগ্রাম ইউনিয়নের দোগাড়ীয়া ঈদগাহ মাঠ এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ একটি সন্ত্রাসী দল মহড়া দিচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা শাখা ও তাড়াশ থানার বিশেষ টিম ওই সন্ত্রাসীদের অবস্থান সনাক্ত করে অভিযান চালানো হয়। এসময় ৭ জনকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। 

তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দানকারী তাড়াশ থানার তালম ইউনিয়নের দেওঘর গ্রাম হতে শ্রী সুনীল উরাওকে গ্রেতার করা হয়। এ সময় তাদের কাজ থেকে ২০০২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বেলকুচি উপজেলার রান্ধুনিবাড়ী পুলিশ ক্যাম্প থেকে লুট হওয়া ১টি এসএমজি, ১টি থ্রি-নট থ্রি রাইফেল, ১ টি থ্রি নট থ্রি কাটা রাইফেল, ১১ রাউন্ড থ্রি নট থ্রি তাজা গুলি, ১ টি গুলির খোসা, ২ টি চাকু, ১ টি সাউন্ড গ্রেনেড ও ১টি অটোভ্যানগাড়ী উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- জেলা পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো. সামিউল আলম, জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি রওশন আলী, সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির, তাড়াশ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম ও জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই জুলহাজ উদ্দিনসহ গণমাধ্যমকর্মীরা।

এইচআর