সন্তান না হওয়ায় গৃহবধূকে পিটিতে হত্যার অভিযোগ

রাজিবপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২৩, ০৭:০৪ পিএম

কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে শ্বশুর রহিজল হক (৪৮), সৎ শাশুড়ী সালেহা খাতুন (৪০) ও দেবর সানোয়ার (২০) এর পিটুনিতে তাসলিমা নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। রাজিবপুর সদর ইউনিয়নের বউবাজার এলাকায় আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তাসমিলা দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মৌলবীরচর এলাকার মৃত সালাম এর মেয়ে।

দশ বছর আগে বদরপুর রহিজল হকের পুত্র মুকুল হোসেনের সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহে আবদ্ধ হন তিনি। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়ীর লোকজন নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো তাকে। 

আজ সকালে শ্বশুর-শাশুরী ও দেবর এলোপাথারী মারপিটের এক পর্যায়ে মারা যায়। প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সামিউল ইসলাম।

নিহত গৃহবধূর দেবর এর স্ত্রী মোমেনা খাতুন (২৩) এর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ‘বিয়ে হয়েছে প্রায় ১০ বছর হলো। সন্তান না হওয়ায় মাঝে মধ্যেই শারিরীক নির্যাতন করতো। আমার তিন বছর হলো বিয়ে হয়েছে আমাকেও নির্যাতন করে। তারা একটু ত্রুটি পেলেই নির্যাতন করে।’

প্রতিবেশী লাল মিয়া (৪২) ও আব্দুল লতিফ (৫০) বলেন, ‘মেয়েটা অত্যন্ত ভালো সহজ সরল ছিল। নিহতের স্বামী কৃষি কাজে যখনই ঢাকায় যায় তখনই মেয়েটার ওপর অত্যাচার নির্যাতন করে তার সৎ শাশুড়ী, শ্বশুর ও দেবর।’

প্রত্যক্ষদর্শী মরিয়ম আক্তার (৫৫) জানান, ‘আমি তাসলিমাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে আমার ওপর তারা ক্ষেপে আমাকেও মারতে আসে। পরে চিৎকার করলে এলাকার মানুষ এগিয়ে এলে দেবর সানোয়ার পালিয়ে যায় পরে সবাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’

রাজিবপুব থানার ওসি (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, ‘চর রাজিবপুর থানার বউবাজার এলাকায় পারিবারিক দ্বন্দে শাশুরী কর্তৃক হত্যার ঘটণা ঘটেছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলমান।’

এআরএস