রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলিতে নিহত বেড়ে ৪

উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২৩, ০১:৩৩ পিএম

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পৃথক গোলাগুলির ঘটনা উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ ব্লক: জি/৩ এর কামাল উদ্দিনের ছেলে জয়নাল উদ্দিন (২৫) ও ক্যাম্প-১৭ এর মৃত আবুল বাশারের ছেলে আবুল কাসেম (৩৪), মো. আলীর ছেলে মো. জোবায়ের (১৮) ও ক্যাম্প-১৫ ব্লক: জি/৬ এর মো. শফিকের ছেলে আনোয়ার সাদেক (১৭)।

গুলিবিদ্ধ সৈয়দুল বশরের ছেলে মো. আয়াস (১৮)। বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়।

[270226]

রাত ৮টার দিকে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ এর জি/৩ ব্লকে আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) এ দু‍‍`সন্ত্রাসী বাহিনী প্রায় ৩০-৪০ জনের দল জড়ো হয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ৩ জন নিহত হন। দু‍‍`সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যেই প্রায় ঘন্টাখানেক গোলাগুলি চলে। এ ঘটনার খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ঘটনাস্থল থেকে দু‍‍`সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে যান।পরবর্তীতে পুলিশ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করে।

অপরদিকে, একই সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৭ এর সি/৭৭ ব্লকে আরসা সন্ত্রাসী ১০/১২ জনের একটি দল আবুল কাসেম নামের একজন সাধারণ রোহিঙ্গাকে আরএসওর সোর্স সন্দেহে মাথায় গুলি করে হত্যা করে।

বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্প অভ্যান্তরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিম হোসেন জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনায় নিহতদের লাশ গুলো উদ্ধার ও সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। বুধবার সকালে সকালে তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ময়নাতদন্ত করা হবে বলে উল্লেখ করেন ওসি।

গত ২০ নভেম্বর থেকে মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ১৬দিনে ক্যাম্প মাঝিসহ ১০ জন খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় পুরো ক্যাম্পে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মিয়ানমার কেন্দ্রীক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আসরা-আরএসওর সদস্যরা আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নির্মম এ হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটাচ্ছে বলে অভিমত সাধারণ রোহিঙ্গা ও সংশ্লিষ্ট আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের।

এআরএস