কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ১১টি মামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪, ০৪:০০ পিএম
ছবি: আমার সংবাদ

বরগুনার পাথরঘাটায় কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়াই কাল হলো প্রবাসীর স্ত্রী ও তার স্বামীর। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগী ও তার স্বামীকে একে একে ১১টি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে আরেক প্রবাসী আল মামুন নামের এক ব্যক্তি।

এমন অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন আসমা আক্তার নামের এক নারী। এ সময় তার দুই মেয়েও উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আসমা আক্তার বলেন, আমার স্বামী সৌদি আরবে আল মামুনের সঙ্গে একই কোম্পানিতে চাকরি করতো। কিছুদিন যাওয়ার পর আমার স্বামী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওই দেশের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান আল মামুন, পরে তার অসুস্থতার কথা আমাকে জানান মামুন। প্রায়ই সে সুযোগে স্বামীর খবরাখবর জানাত, এক পর্যায়ে আল মামুন আমাকে কুপ্রস্তাব দেয়। আমি এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমাকে রাজি করাতে আমার স্বামী মনিরের পাসপোর্ট, ইকামাসহ যাবতীয় কাগজপত্র আল মামুন আটকে রাখেন। পরে সে আমার স্বামীকে তালাক দিয়ে তাকে বিয়ে করতে আমাকে সৌদি আরবে যেতে বলেন।

এছাড়াও বিভিন্ন সময় সে হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমোতে অশ্লীল ভিডিও পাঠাতো। আমার ছবি বানিয়ে বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগের দিলে আমি তার বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম অপরাধে মামলা করি। কেউ কাউকে হয়রানি করবে না মর্মে ওই মামলা জেলা লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আপোষ নিষ্পত্তি হয়।

ভুক্তভোগী আসমা আরও বলেন, আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমার স্বামীকে জোর করে দেশে পাঠিয়ে দেয় মামুন। এরপর মামুন দেশে এসে এবং বিদেশে থেকে নিজে এবং তাদের লোক দিয়ে স্বাক্ষর জাল করে স্টাম্প তৈরি করে একে একে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আদালতে ১১টি মামলা দেয়। বর্তমানে আমার স্বামী একটি মিথ্যা মামলায় জেলে হাজতে রয়েছেন। মামুন আমাকে নিঃস্ব করে ফেলেছে।

এ বিষয়ে প্রবাসী আল মামুনকে মুঠোফোন এবং হোয়াটসঅ্যাপ কল দিলেও রিসিভ করেনি। তাছাড়া হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা দিলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

ইএইচ