ফরিদগঞ্জে ১৩ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২৪, ০৫:৩৪ পিএম

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মৃত্যুর ১৩ দিন পর সেলিম শেখের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন’র উপস্থিতিতে ও ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের ধানুয়া এলাকা থেকে মৃতের পারিবারিক কবরস্থানে থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।

মৃত সেলিম শেখ ধানুয়া গ্রামের শেখ বাড়ির মৃত আব্দুল সাত্তার শেখ’র ছেলে।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের ধানুয়া গ্রামের শেখ বাড়ির সেলিম শেখের সাথে স্ত্রী লিপি বেগমের পরিবারিক বিষয়ে ঝগড়া-বিবাদ ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ মার্চ রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ওই রাতেই আনুমানিক ৩টার দিকে হঠাৎ চিৎকারের শুনে পাশের ঘরের লোকজন এসে দেখেন সেলিম শেখ বসতঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে। দ্রুত স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসক নিয়ে আসলে তিনি সেলিমকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরদিন ২৪ মার্চ সকালে পরিবারের লোকজন দ্রুত তাকে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করে।

এরপরেই শুরু তার মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন। মৃত সেলিম শেখের মাথার মধ্যস্থানে, কানের কাছে ও চোখের নিচে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে স্থানীয়দের মধ্যে তার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এমনকি স্থানীয় লোকজন জানাজার সময়ে লাশের মাথা থেকে রক্ত পড়তেও দেখেন। এলাকার বিভিন্ন জনের কাছ এরকম কথা শুনে সেলিম শেখের বোন ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে গত ২৭ মার্চ চাঁদপুর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে ফরিদগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দেয়।

ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ আদালতের নির্দেশে তদন্তপূর্বক এটি এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করে। এরপর মামলার বাদী ফাতেমা বেগম আদালতে লাশ উত্তোলনপূর্বক ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করলে আদালত কবর থেকে লাশ উত্তোলনের অনুমতি দেয়। সে অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন’র উপস্থিতিতে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ শুক্রবার বিকালে মৃত ব্যক্তির বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করে।

এদিকে সেলিম শেখের স্ত্রী লিপি বেগম আদালতে মামলা দায়েরের পর থেকে পলাতক রয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মামলার কথা শুনে গ্রেপ্তার এড়াতে লিপি বেগম মৃত সেলিম শেখ’র গোয়াল ঘরে থাকা ৪টি বড় গরু বিক্রি করে পালিয়েছেন।

ইএইচ