বৈশাখী মেলায় কুপন বাণিজ্যের অভিযোগ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ০৪:৪২ পিএম

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চলছে বৈশাখী মেলা। মেলাকে কেন্দ্র করে বাধ্যতামূলক লাকি কুপন বিক্রির প্রতিযোগিতায় নেমেছেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। এ থেকে রেহাই পায়নি শিক্ষকসহ জনপ্রতিনিরাও। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা প্রশাসনের নতুন মাঠে ৭ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার প্রথম দিন থেকেই এ লাকি কুপনের বাণিজ্য শুরু হয়।

কুপন কেনায় বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে উপজেলাবাসী। চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে। বিষয়টি এখন টক অপ দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।

এদিকে, মেলার খরচ পোষাতে ৫০ হাজার লাকি কুপন ছাপানো হয়। প্রতিটি কুপনের মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এ মেলা আরও ২ দিন বাড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন এমনটি জানিয়েছেন একটি সূত্র।

জানা যায়, এবারের বৈশাখী মেলায় একাধিক স্টল ফাঁকা রয়েছে। অতিরিক্ত স্টলের মূল্য নির্ধারণ করায় এমনটি হয়েছে বলে একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান। তবে, গরমের তীব্রতা থাকায় শরবতের দোকানগুলো ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু সেসকল দোকান থেকেও প্রতিদিন আদায় করা হয়েছে উৎকোচ। এ উৎকোচ থেকে রেহাই পায়নি ছোট ছোট পান সিগারেটের দোকানিরাও।

এদিকে, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত প্রকাশ্যে র‌্যাফেল ড্রয়ের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। কলাপাড়া উপজেলার সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ইউপি সদস্যদের কাছে চলে গেছে লাকি কুপনের বই। এ সকল কুপন ক্রয় করতে স্থানীয় সাধারণের উপর বাড়তি চাপ পরছে বলে জানান অনেকেই।  

মেলায় আগত একাধিক দর্শনার্থীরা জানান, এবারের মেলার আয়োজনটি খুব ভালো ছিল। তবে, উল্লেখযোগ্য শিল্পী না থাকায় এবং সেই সাথে অনেকগুলো স্টল ফাঁকা থাকায় আয়োজনটি কিছুটা হলেও মলিন হয়েছে বলে তারা মতামত ব্যক্ত করেন।

মেলার পান সিগারেটের দোকানি শেফালি বেগম বলেন, মেলা উপলক্ষে বাড়তি কিছু আয়ের জন্য পান সিগারেটের দোকান নিয়ে বসেছিলাম। দর্শনার্থীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম থাকায় আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না। তদুপরি, মেলায় দোকান নিয়ে বসায় কমিটিকে ৫০০ টাকা দিতে হয়েছে।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কি পরিমাণ লাকি কুপন করা হয়েছে তা এলও’র সাথে কথা বললে জানতে পারবেন।

ইএইচ