অনিয়মের অভিযোগে নোয়াখালী কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টারে দুদকের অভিযান

নোয়াখালী প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২৫, ০৮:০০ পিএম

নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের অনুমোদনহীন কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. জাহেদ আলম ও কোর্ট পরিদর্শক মো. ইদ্রিসের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

সূত্রে জানা গেছে, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের নিজস্ব ল্যাব থাকলেও সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে ডায়ালাইসিস ইউনিটে পৃথকভাবে একটি ল্যাব পরিচালনা করা হচ্ছে। যেখানে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে ডায়ালাইসিস, ক্যাথেটার ও ফিস্টুলা করার কথা থাকলেও তা করছেন টেকনেশিয়ান ইসমাইল।

সরকার নির্ধারিত ক্যাথেটার ফি ৫০০ টাকা হলেও সেখানে নেওয়া হচ্ছে ২,৫০০ টাকা, এবং ফিস্টুলার জন্য নেওয়া হচ্ছে ৬,০০০ টাকা। একই ধরনের পরীক্ষা হাসপাতালের মূল ল্যাবে ৭০০ টাকায় হলেও, ডায়ালাইসিস ইউনিটের ল্যাবে নেওয়া হচ্ছে ১,৪০০ টাকা। অভিযোগ রয়েছে, এই ইউনিট থেকে প্রতি মাসে কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা অবৈধ আয় হয়, যার একটি অংশ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ‘খাম’ আকারে পৌঁছে যায়।

অভিযোগ অনুযায়ী, এসব কর্মকাণ্ড তদারকি করছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মামুন পারভেজ। তিনি একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়েও প্রতি মাসে ইউনিট থেকে ১০ হাজার টাকা করে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করে বাহিরে চেম্বার পরিচালনার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও অভিযুক্ত ডা. ফজলে এলাহীর সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি। ফলে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অভিযোগ সম্পর্কে ডা. মামুন পারভেজ বলেন, “মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে কিডনি ইউনিট পরিচালনা করা হচ্ছে। এখানে কোনো অনিয়ম হয় না। আমি বর্তমানে বাহিরে রোগী দেখি না।”

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

দুদকের কোর্ট পরিদর্শক মো. ইদ্রিস বলেন, “অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়েছে। কিছু অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে, যা প্রতিবেদন আকারে প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে।”

ইএইচ