চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে চলতি মৌসুমের তীব্রতম তাপপ্রবাহ।
শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ মৌসুমে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
বাতাসে আর্দ্রতা মাত্র ২৪ শতাংশে নেমে আসায় গরমের প্রভাব আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
তীব্র গরমে শহরের বিভিন্ন এলাকায় সড়কের পিচ গলে যাচ্ছে। বিশেষ করে কোর্ট রোড ও বড়বাজার এলাকার সড়কে পিচ গলে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে জনদুর্ভোগও বেড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মনজুরুল করিম বলেন, “বিভিন্ন সড়কে পিচ গলে যাওয়ার খবর পেয়েছি। সেসব স্থানে বালু ছিটিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চলছে। তবে তাপমাত্রা আরও বাড়লে অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিতে হতে পারে।”
এর আগের দিন, বৃহস্পতিবার (৮ মে), চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, “তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ালেই হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে। তাই সবাইকে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলতে এবং প্রচুর পরিমাণে পানি ও ফলমূল গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা জামিনুর হক জানান, বর্তমানে জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এই পরিস্থিতি আগামী ১৩ মে পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এমনকি তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
চিকিৎসক এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইএইচ