ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়াও বিদ্যালয়ে একাধিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের এক শ্রেণিকক্ষে চুলা, হাড়ি-পাতিলসহ নোংরা পরিবেশে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। শিক্ষার্থীদের কাছে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ফটোকপি ও মোবাইল ফোনে সফট কপিও পাওয়া গেছে।
অভিযোগকারী স্থানীয় বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন বলেন, “শিক্ষকদের ছেলে-মেয়েদের এবং যারা তাদের কাছে প্রাইভেট পড়ে, তাদের আগেই প্রশ্নপত্র দিয়ে দেওয়া হয়। অন্য শিক্ষার্থীরা ভালো নম্বর পেলেও তাদের নম্বর কেটে কমিয়ে দেওয়া হয়। আমি এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অবহিত করে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।”
অভিভাবক তাজুল ইসলাম বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে অনিয়ম চলে আসছে। শ্রেণিকক্ষে রান্নাবান্না হয়, জায়গায় জায়গায় ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকে। শিক্ষকরা ঠিকভাবে ক্লাসও নেন না। আমরা প্রতিবাদ করেও কোনো সাড়া পাচ্ছি না।”
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এনামুল হক বলেন, “প্রশ্নপত্র আমি নিজে তালা দিয়ে রাখি এবং পরীক্ষার আধ ঘণ্টা আগে বিতরণ করি। শিক্ষার্থীরা হয়তো আত্মীয়স্বজনদের মাধ্যমে অন্য বিদ্যালয় থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ করেছে। যেহেতু উপজেলার সব বিদ্যালয়ের প্রশ্ন এক, তাই প্রশ্ন হাতে পেয়ে থাকতে পারে। শ্রেণিকক্ষে রান্না হয় না, চা বানানো হয় মাত্র।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিব চৌধুরী জানান, “বিষয়টি আমলে নিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।”
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, “আগামীকাল (শনিবার, ১৭ মে) তদন্ত কমিটি সরেজমিনে গিয়ে বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করবে। অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ইএইচ