পার্বত্য অঞ্চলের কৃষিতে বিপ্লব ঘটাতে বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা।
তিনি বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশাল পরিমাণ ভূমি রয়েছে। এসব জমিকে বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে একাধিক ফসলের উৎপাদনযোগ্য জমিতে রূপান্তর করতে হবে।”
শুক্রবার বিকেলে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক বায়োসায়েন্স সম্মেলন ও কার্নিভাল-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “এই অঞ্চলের ভূমিকে অধিক ফলনক্ষম করতে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবনী চিন্তাশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। এতে কৃষিতে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।”
তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনে দেশের খ্যাতনামা বিজ্ঞানী, গবেষক ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সম্মেলনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান। অনুষ্ঠানে তিনটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়, যেখানে বায়োসায়েন্স, স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন, প্রাকৃতিক উপাদানে ওষুধ আবিষ্কার এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন সম্ভাবনা নিয়ে আলোকপাত করা হয়।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন চলবে আগামী ১৮ মে পর্যন্ত। এতে থাকছে কর্মশালা, পোস্টার প্রদর্শনী এবং বৈজ্ঞানিক আলোচনা। আয়োজকরা আশা করছেন, এই আয়োজন নতুন প্রজন্মের গবেষকদের জন্য একটি কার্যকর দিকনির্দেশনা হয়ে উঠবে।
ইএইচ