চামড়া শিল্প আমাদের দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও শুধুমাত্র সঠিক সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার অভাবে প্রতিবছর ঈদ-উল-আযহায় বিপুল পরিমাণ চামড়া পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এই প্রবণতা বন্ধ করতে এবং স্থানীয়ভাবে চামড়া সংরক্ষণের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের স্বাবলম্বী করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা।
শনিবার (১৭ মে) বিকেল ৩টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কুরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ, লবণ সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘চামড়া ব্যবসার মাধ্যমে কুড়িগ্রামের ব্যবসায়ীরা যেন স্বাবলম্বী হতে পারেন এবং দেশের চামড়ার চাহিদা পূরণে অবদান রাখতে পারেন, সে লক্ষ্যে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। এজন্য প্রয়োজন সর্বাগ্রে দেশপ্রেম।’
তিনি আরও বলেন, ‘চামড়া পাচার রোধ করতে হলে ব্যবসায়ীদের সচেতন ও উদ্যোগী হতে হবে। একইসঙ্গে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয়ে এই শিল্পের বিকাশে কাজ করতে হবে।’
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উত্তম কুমার রায়, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান, জেলা ট্রেনিং অফিসার ডা. মো. আব্দুল জলিল, দৈনিক কালবেলা ও দৈনিক এশিয়ান এজ-এর বিভাগীয় প্রধান সাংবাদিক সাঈয়েদ আহমেদ বাবু, দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি রাশিদুল ইসলাম রাশেদ এবং সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মুজাহিদ।
সভায় অংশ নেন জেলার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীরা।
সভায় চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণের সরবরাহ নিশ্চিত করা, পাচার প্রতিরোধে নজরদারি বৃদ্ধি, এবং স্থানীয় পর্যায়ে ট্যানারি বা সংরক্ষণাগার স্থাপনের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়।
জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ চামড়া শিল্পের টেকসই উন্নয়ন এবং ব্যবসায়ীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অংশগ্রহণকারীরা।
বিআরইউ