বরিশাল নার্সিং কলেজের আন্দোলনরত পোস্ট বেসিক বিএসসি নার্সিং শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে পারেননি। শিক্ষকদের অসহযোগিতার কারণে শেষদিনেও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণ করতে ব্যর্থ হন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের শাটডাউন কর্মসূচিতে হামলাকারী তিন শিক্ষককে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায়, কলেজ কর্তৃপক্ষ ফরম পূরণ করতে দেয়নি। ফলে চার শতাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
সোমবার সকালে শিক্ষার্থীদের মিডিয়া সেলের সূত্রে জানা গেছে, ফরম পূরণের দাবিতে গত ১৮ মে তারা সংবাদ সম্মেলন করলেও তাতে কোনো কার্যকর ফল পাওয়া যায়নি।
শিক্ষার্থীরা জানান, মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, চলমান শাটডাউন কর্মসূচি ১৬ মে থেকে সাময়িকভাবে শিথিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে মন্ত্রণালয় আশ্বস্ত করেছে, হামলায় জড়িত ইন্সট্রাক্টর আলী আজগর, ফরিদা বেগম ও সাইফ হোসেন রনি মোল্লার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তারা আরও জানান, আন্দোলন শিথিলের বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষকে ১৬ ও ১৭ মে জানানো হয়েছে এবং একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু রাখার অনুরোধও করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত তিন শিক্ষককে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, “কলেজে ৩২ জন শিক্ষক রয়েছেন। আমরা তিনজন বাদে বাকি ২৯ জনকে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুরোধ করেছি। কিন্তু শিক্ষকরা ওই তিনজন ছাড়া কার্যক্রমে রাজি হননি।”
এছাড়া, ফরম পূরণের শেষদিন ১৮ মে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের সময় কলেজ অধ্যক্ষ ওই তিন শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় এবং শেষে শিক্ষকরা ফরম পূরণ না করেই ফিরে যান।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, “যেখানে মন্ত্রণালয় আমাদের দাবির বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছে, সেখানে কলেজ কর্তৃপক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের ফরম পূরণে বাধা দিচ্ছে। শেষদিনেও চতুর্থ বর্ষের ৪০০ শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ করা হয়নি।”
এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ হোসনে আরা আক্তার রুমি বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম। কিন্তু শিক্ষার্থীরাই আমাদের প্রশাসনিক ভবনে ঢুকতে দেয়নি। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছি।”
ইএইচ