পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় প্রতিরাতেই চুরি হচ্ছে কৃষকের কষ্টার্জিত গরু ও মহিষ।
সারা বছরের পরিশ্রমে বড় করা কোরবানির পশু নিমিষেই চুরি হয়ে যাচ্ছে, নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন খামারিরা।
গত চারদিনে হরিপুর ইউনিয়ন থেকে তিনটি, ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন থেকে পাঁচটি এবং সর্বশেষ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিমাইচড়া ইউনিয়নের ধানকুনিয়া গ্রামের মো. আব্দুল প্রামাণিকের ছেলে শাহজাহান আলীর দুটি মহিষ চুরি করে নিয়ে গেছে চোরের দল। চুরি যাওয়া মহিষগুলোর আনুমানিক মূল্য ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা বলে জানা গেছে।
স্থানীয় কৃষকরা কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এসব গরু ও মহিষ দীর্ঘ ১-২ বছর ধরে লালন-পালন করে আসছিলেন। কিন্তু মাত্র চারদিনেই শুধু চাটমোহর উপজেলা থেকেই প্রায় ১২ লাখ টাকার পশু চুরি হয়েছে, যা চরম ক্ষতির মুখে ফেলেছে এসব খামারিকে।
গ্রামের মানুষ এখন রাতে ঘুমাতে পারছেন না, পালাক্রমে গরু পাহারা দিচ্ছেন তারা। থানা পুলিশ প্রধান সড়কগুলোতে টহল দিলেও চুরির ঘটনা থামছে না। একাধিক অভিযোগ থানায় জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো চোর আটক হয়নি, উদ্ধার হয়নি চোরাই পশুও।
এই পরিস্থিতিতে অনেকেই মনে করছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হয়তো যথাযথভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন না, ফলে কৃষকদের সারা বছরের স্বপ্ন মুহূর্তেই ধুলোয় মিশে যাচ্ছে।
সুধী সমাজ মনে করেন, শুধু পুলিশের ওপর নির্ভর না করে স্থানীয় জনগণেরও এ বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত। প্রয়োজনে আঞ্চলিক সড়কে চেকপোস্ট বসানো, রাত্রিকালীন পাহারা বৃদ্ধি ও সন্দেহভাজন যানবাহনের ওপর নজরদারি বাড়ানো যেতে পারে।
এ বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মঞ্জুরুল আলমের ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল নম্বরে (বেলা ১২টায়) যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, "বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আগামী সোমবার উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। চুরি রোধে পুলিশ, জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় জনগণের সমন্বয়ে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
ইএইচ