সারাদেশে একদিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গাইবান্ধায় আটজন, ময়মনসিংহে চারজন, ঝিনাইদহে দুজন, কিশোরগঞ্জে দুজন ও টাঙ্গাইলে দুজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন।
জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
গাইবান্ধা
জেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আটজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে পলাশবাড়ীতে তিনজন, গোবিন্দগঞ্জে পাঁচজন হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও একজন। তারা হলেন, পলাশবাড়ী উপজেলার খামার নড়াইল গ্রামের সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে লিয়াকত (১৮), ওয়াদুদ প্রাণের ছেলে ইমরুল (২০) ও নছুর উদ্দিনের ছেলে অটো চালক গনি মিয়া (৪০)। বাকিরা হলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রইচ উদ্দিন (৬০), আনোয়ার হোসেন (৩০) ও তার স্ত্রী শারমিন আকতার (২৬)। বাকি দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ময়মনসিংহ
পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১২ জন। তারা হলেন, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় গ্রামের মো. পারভেজ মিয়া (৩৫), তার ছেলে মো. হাসান মিয়া (৮), ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার পিঠাসুটা গ্রামের মো. মন্নাছ মিয়ার ছেলে মো. শরীফ মিয়া (২৫) ও একই উপজেলার সাধুপাড়া গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান হবি (৪৫)।
ঝিনাইদহ
পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কাজল হোসেন (১৮) নামে এক কলেজছাত্র ও আদনান (১০) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। এসময় আরও দুজন আহত হয়েছেন। তাদের কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ
জেলার উল্লাপাড়ায় বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এতে মাইক্রোবাসের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে গেছে। তবে কোনো নিহতের ঘটনা ঘটেনি।
টাঙ্গাইল
ঈদযাত্রায় টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ট্রেন ও বাসের ছাদ থেকে ছিটকে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। বাসের ছাদ থেকে পড়ে নিহতের নাম রানা। অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি।
কিশোরগঞ্জ
জেলার পাকুন্দিয়ায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। নিহতরা হলেন, পান্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চরটেকি গ্রামের দুলাল মিয়া (৪৫) ও একই ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামের শাহাব উদ্দিন (৫৫)।
আরএস