যশোরের অভয়নগরে কুয়েতপ্রবাসী যুবক হাসান শেখ (২৮) হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর এজাহারভুক্ত ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে নিহতের বড় ভাই মুন্না শেখ বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৬-৭ জনকে আসামি করে অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের নাউলী গ্রামের শেখপাড়া এলাকার শাহজাহান শেখের ছেলে হাসিবুর রহমান সাগর (২৯), দক্ষিণপাড়ার মৃত ওহাব গাজীর ছেলে জয়নাল গাজী (৩২), মৃত মাজেদ শেখের ছেলে জিলহজ্ব শেখ (২১), ইন্তাজ আলী শেখের ছেলে হাবিবুল্লাহ ওরফে জামিল শেখ (১৯) এবং তবিবুর শেখের ছেলে অহিদুজ্জামান শেখ ওরফে চঞ্চল (২৫)। মামলার ২ নম্বর আসামি শেখপাড়ার জাহাঙ্গীরের ছেলে ইনামুল (২৮) এখনও পলাতক।
এর আগে রোববার (১৫ জুন) সকালে নাউলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন একটি মাছের ঘেরপাড় থেকে হাসানের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত হাসান শেখ ওই গ্রামের হাবিবুর রহমান শেখের ছেলে। তিনি ২০১৮ সালে কুয়েতে পাড়ি জমান এবং সেখানে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘ সাত বছর পর চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ছয় মাসের ছুটিতে বাড়ি ফিরে বিয়ে করেন।
মামলার বাদী মুন্না শেখ বলেন, "কুয়েত থেকে ফিরে ভাই হাসান স্থানীয় কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা দিতেন এবং তাদের পিছনে প্রচুর টাকা খরচ করতেন। একপর্যায়ে টাকার জন্য চাপে ফেললে ভাই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বন্ধুরাই তাকে পরিকল্পিতভাবে গলা কেটে হত্যা করেছে।"
তিনি আরও জানান, রোববার রাতে হাসানের দাফন সম্পন্ন হয়।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আলীম বলেন, “হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক আসামি ইনামুলকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।”
ইএইচ