‘মেধা ও মননে সুন্দর আগামী’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে কৈশোর মেলা ২০২৫।
দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) এর বাস্তবায়নে এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগিতায় রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত করিমগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে এই মেলার আয়োজন করা হয়।
মেলাটি অনুষ্ঠিত হয় কৈশোর কর্মসূচির আওতায়, করিমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্যদের অংশগ্রহণে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএসকে’র উপপরিচালক মো. শহীদুজ্জামান ভূঁঞা।
প্রধান অতিথি ছিলেন করিমগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. সিদ্দিক উল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানবজমিন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আশরাফুল ইসলাম, আমার সংবাদ পত্রিকার করিমগঞ্জ প্রতিনিধি ও কবি এম এ জলিল এবং ডিএসকে কিশোরগঞ্জ-০২ অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. সজল মিয়া।
মেলায় কিশোর-কিশোরীদের অংশগ্রহণে মোট দশটি স্টল বসে। এসব স্টলে প্রদর্শিত হয় চারু ও কারুশিল্প, পিঠা তৈরির কৌশল, সামাজিক স্বাস্থ্য সচেতনতা, পরিবেশ ও বনায়ন, মা ও শিশু সুরক্ষা, হাওরের জীববৈচিত্র্য, ব্লাডগ্রুপ নির্ণয়সহ নানা বিষয়।
স্টল পরিদর্শন শেষে সেরা তিনটি স্টলকে পুরস্কৃত করা হয়।
মেলার অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। গান, কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য, একক অভিনয় ও দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে কিশোর-কিশোরীরা মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা উপহার দেয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মো. সিদ্দিক উল্লাহ বলেন, “শিল্প-সংস্কৃতি ও সাহিত্যের চর্চার মধ্য দিয়ে কিশোর-কিশোরীদের জ্ঞান ও দক্ষতা আরও প্রসারিত হবে। এই আয়োজন সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা দেয়।”
সমাপনী বক্তব্যে ডিএসকে’র উপপরিচালক মো. শহীদুজ্জামান ভূঁঞা অংশগ্রহণকারী, অতিথি ও আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
মেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ডিএসকে করিমগঞ্জ উপজেলা প্রোগ্রাম অফিসার মো. জুয়েল খান।
ইএইচ