১৭ বছর ধরে উন্নয়নবঞ্চিত ‘শহীদ জিয়া সড়ক’

সড়ক সংস্কার ও ড্রেনেজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন

বরিশাল ব্যুরো প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৫, ০৭:৩৩ পিএম

বরিশাল সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়া সড়ক এলাকায় দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে কোনো ধরনের উন্নয়ন কার্যক্রম না থাকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। 

শুক্রবার জুমার নামাজের পর পশ্চিম বগুড়া জিয়া সড়কের বাইতুল মদিনা জামে মসজিদের সামনে সড়ক সংস্কার ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেন তারা।

কর্মসূচিতে স্থানীয় বাসিন্দা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। তাদের দাবি, নতুল্লাবাদ ব্রিজ থেকে নবগ্রাম রোড পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ, শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী চলাচল করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাজুড়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ। ফলে যাতায়াতে দুর্ভোগের পাশাপাশি বর্ষাকালে এলাকাটি হাঁটু সমান ময়লা পানিতে তলিয়ে যায়।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, সড়কটি নির্মাণের সময় সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের স্মরণে এর নামকরণ করা হয় ‘শহীদ জিয়া সড়ক’। কিন্তু এরপর থেকেই সড়কটি উন্নয়ন কার্যক্রম থেকে উপেক্ষিত থেকেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ১৭ বছরে একাধিকবার জনপ্রতিনিধি পরিবর্তন হলেও সড়কটির কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। বরাদ্দ আসার খবর শোনা গেলেও বাস্তবে কোনো কাজ শুরু হয়নি।

বক্তারা বলেন, বর্ষা মৌসুমে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে থেকে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে। ডেঙ্গু ও অন্যান্য রোগের প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা থাকে। এছাড়া রাস্তাটি এতই খারাপ অবস্থায় রয়েছে যে, প্রায়শই দুর্ঘটনার শিকার হন পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীরা।

মানববন্ধনে অংশ নেন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সদস্য আ.ন.ম. সাইফুল আহসান আজিম, সাবেক কাউন্সিলর মো. শহিদুল ইসলাম তালুকদার, সৈয়দ আশরাফ আলী, জায়েদ হোসেন, হারুন, মো. নুরুজ্জামান, মামুন, মজিবর রহমান, শানু, হানিফসহ অসংখ্য স্থানীয় বাসিন্দা।

তারা অভিযোগ করেন, বারবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন জানালেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি দ্রুত এই সড়ক সংস্কার এবং ড্রেনেজ নির্মাণের কার্যক্রম শুরু না হয়, তাহলে এলাকাবাসী বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবে।”

এ বিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, “জিয়া সড়কের মূল সড়কের টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।”

তবে এলাকাবাসীর দাবি, শুধু আশ্বাস নয়, তারা দ্রুত দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখতে চান। কারণ সড়কটির বর্তমান অবস্থা জনদুর্ভোগকে প্রতিদিনই আরও বাড়িয়ে তুলছে।

ইএইচ