ইস্পিতার মৃত্যু রহস্য: তদন্ত ও বিচারের দাবিতে ভোলায় ছাত্র ফেডারেশনের মানববন্ধন

ভোলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৫, ০৯:২১ পিএম

ভোলা সরকারি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ভোলা কলেজ শাখার সক্রিয় কর্মী সুকর্ণা আক্তার ইস্পিতার মৃত্যুতে সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, ভোলা জেলা শাখা।

শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ফটকে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ছাত্র ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও সচেতন নাগরিকরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ভোলা জেলার সংগঠক তানজিল হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পশ্চিম চরনোয়াবাদ হাই স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আবু তাহের। তিনি বলেন, "শুধু বিচার করলেই হবে না, ইস্পিতার মৃত্যুর পেছনে যেসব কারণ কাজ করেছে, তা গভীরভাবে অনুসন্ধান করে ভবিষ্যতের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।"

সংগঠনের সদস্য মেহেদী হাসান মাহি বলেন, “গত ২০ জুন মেঘনা নদী থেকে ইস্পিতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ১৭ জুন তিনি কর্ণফুলী-৪ নামের একটি ঢাকাগামী লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন বলে জানানো হয়। তবে একটি ৯৯৯ নম্বর কলের মাধ্যমে লঞ্চে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে, যা ঘটনায় নতুন মোড় এনে দেয়। নিহতের পরিবারও ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন।”

ইস্পিতার মৃত্যুকে রহস্যজনক দাবি করে ছাত্র ফেডারেশনের নেতারা বলেন, ইস্পিতা ছিলেন ‘জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান’-এর একজন সক্রিয় সংগঠক। তার মৃত্যুকে কোনোভাবেই স্বাভাবিক বলা যায় না। বক্তারা বলেন, “এই মৃত্যু কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এটি বিচারহীনতার সংস্কৃতির নির্মম বহিঃপ্রকাশ। অবিলম্বে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”

নেতারা আরও বলেন, “ইস্পিতার মতো একজন সচেতন ও সমাজ সচেতন তরুণীর এই করুণ পরিণতি দেশে নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার ব্যবস্থা নিয়ে গভীর প্রশ্ন তোলে। রাষ্ট্রকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে যাতে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা যায়।”

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ফেডারেশনের সদস্য জুয়েল রানা, জিহাদ, এবং পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি নেওয়াজ শরীফসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

আরএস