ভৈরব ব্রিজ হয়ে ঢাকা যাত্রায় নতুন দিগন্ত

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম

যশোর-খুলনা মহাসড়কের বেহাল অবস্থার কারণে নওয়াপাড়া ও আশপাশের এলাকার মানুষ বিকল্প পথে ঢাকায় যাতায়াত শুরু করেছেন। 

বর্তমানে নওয়াপাড়া-ভৈরব ব্রিজ হয়ে ধোপাখোলা মোড় দিয়ে ঢাকায় পৌঁছাতে সময় লাগছে মাত্র ৩ ঘণ্টা। ফলে এই পথটি খুলনা, যশোর ও উত্তরাঞ্চলের মানুষের কাছে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন এই পথ ব্যবহার করছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় শংকরপাশা খেয়াঘাট থেকে নাপতীর মোড় পর্যন্ত ১৮ ফুট প্রশস্ত করে সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। 

তবে, নড়াইলের নাপতীর মোড় থেকে গোবরা মোড় পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তা এখনো সরু ও ঝুঁকিপূর্ণ। মাত্র ১২ ফুট প্রস্থের কারণে সেখানে প্রতিনিয়ত যানজট ও দুর্ঘটনা ঘটছে। এই ২০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে প্রায় এক ঘণ্টা।

বর্তমানে ৫-৬টি পরিবহন কোম্পানির বাস প্রতিদিন এই বিকল্প পথে ঢাকা যাতায়াত করছে। পাশাপাশি ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহনও চলাচল করছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, মাত্র ২০ কিলোমিটার রাস্তা চার লেনে উন্নীত করা গেলে খুলনা বিভাগের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ আরও সহজ হবে এবং এতে ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটবে।

নওয়াপাড়া বাজার খুলনা ও উত্তরাঞ্চলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র। এখান থেকে বছরে প্রায় ২০-৩০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা-বাণিজ্য হয়ে থাকে।

শংকরপাশা গ্রামের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম গাজী বলেন, “ভৈরব উত্তর ও দক্ষিণ জনপদ বহুদিন অবহেলিত। এই সড়ক প্রশস্ত হলে ওই অঞ্চলের মানুষ বহু সুফল পাবে।”

নওয়াপাড়া সার, সিমেন্ট ও খাদ্যশস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ জালাল হোসেন বলেন, “ভৈরব ব্রিজ হয়ে মাত্র ২০ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন করা হলে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি ও দ্রুত যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হবে। এতে নওয়াপাড়া শিল্পাঞ্চলের নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে।”

এ বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা প্রকৌশলী নাসমুল হুদা বলেন, “আমরা ১৮ ফুট পর্যন্ত কাজ করেছি। এর বেশি আমাদের এখতিয়ার নেই। সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ যদি দায়িত্ব নেয়, তাহলে বড় আকারে উন্নয়ন সম্ভব।”

যশোর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া জানান, “নওয়াপাড়া ভৈরব ব্রিজ থেকে নড়াইলের ধোপাখোলা মোড় পর্যন্ত সড়কটি মাস্টারপ্ল্যানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অনুমোদন পেলে উন্নয়ন কাজের পরিকল্পনা নেওয়া হবে।”

ইএইচ