রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় বাবু খান নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে রাজবাড়ীর সিনিয়র দায়রা জজ জয়নাল আবেদীন এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি খোরশেদ সরদার ও শাহজাহান সরদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার শিরঙ্গল গ্রামের আজিজ সরদারের ছেলে খোরশেদ সরদার এবং পটুয়াখালী জেলার দশমিনা থানার আউলিয়াপুর গ্রামের মৃত হাশেম আলী সরদারের ছেলে শাহজাহান সরদার।
নিহত বাবু খান শরীয়তপুর জেলার নুরিয়া থানার মসুরা গ্রামের সেকেন্দার খানের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে ডলার ব্যবসার সূত্র ধরে বাবু খানকে শরীয়তপুর থেকে কৌশলে ডেকে এনে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের দুরশুন্দিয়া মাঠের একটি রসুন ক্ষেতে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পরদিন সকালে স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। লাশের সঙ্গে কোনো পরিচয়পত্র না থাকায় শুরুতে এটি অজ্ঞাত হিসেবে গণ্য করা হয়।
ঘটনার দিনই পাংশা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রইজুল আলম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত চলাকালে মরদেহের ছবি দেশের বিভিন্ন থানায় পাঠানো হলে নিহতের পরিচয় শনাক্ত হয়।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ আসামি খোরশেদ সরদার ও শাহজাহান সরদারকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “এটি একটি অজ্ঞাত লাশের মামলা ছিল। তবে পুলিশের পেশাদার তদন্ত ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন সম্ভব হয়েছে। আদালত সঠিকভাবে মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করেছেন। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।”
ইএইচ