শ্যামনগরে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৫, ০৫:২৭ পিএম

জাতীয় সংসদের সাতক্ষীরা-৩ ও সাতক্ষীরা-৪ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করে নির্বাচন কমিশনের খসড়া গেজেট প্রকাশের প্রতিবাদে শ্যামনগরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রোববার সকাল সাড়ে দশটায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শ্যামনগর উপজেলা শাখার আয়োজনে উপজেলা জামায়াত কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাবেক সংসদ সদস্য ও জামায়াত নেতা গাজী নজরুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরা-৪ আসন পুনর্বিন্যাসের নামে সরকারি বিধি যথাযথ অনুসরণ করা হয়নি। দেশের বৃহত্তম উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনি একত্রিত করে সাতক্ষীরা-৪ আসন গঠন করায় উভয় উপজেলার মানুষের দুর্ভোগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই দুই উপজেলা বহু দ্বীপ ও দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চল নিয়ে গঠিত। ভৌগোলিক বিচ্ছিন্ন ও দুর্যোগপীড়িত দুই উপজেলাকে এক আসনে অন্তর্ভুক্ত করা অযৌক্তিক ও জনবিরোধী সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, পূর্বের ন্যায় শ্যামনগরকে একক আসন বা শ্যামনগর ও কালিগঞ্জকে একত্র করে আলাদা একটি আসন গঠন করা হলে জনগণের উপকারে আসবে। সাতক্ষীরা জেলা সদরে যাতায়াতের প্রধান রাস্তাটি শ্যামনগর বা আশাশুনির লোকজন একে অপরের উপজেলায় যেতে ব্যবহার করেন না, বরং কালিগঞ্জ উপজেলার প্রধান সড়ক ব্যবহার করেন। ইতিপূর্বে শ্যামনগর পৃথক আসন ছিল; পরবর্তীতে শ্যামনগরের ১২টি ইউনিয়ন ও কালিগঞ্জের ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে সাতক্ষীরা-৪ আসন গঠিত হয়।

তিনি নির্বাচন কমিশনকে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের খসড়া গেজেট সংশোধন করে জনগণের স্বার্থে আশাশুনি ও শ্যামনগরকে কোনো অবস্থাতেই সংযুক্ত না করার আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুর রহমান, সেক্রেটারি মাওলানা গোলাম মোস্তফা, সহকারী সেক্রেটারি মাস্টার রেজাউল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম এবং জামায়াতের উপজেলা যুববিভাগের সভাপতি সাইদী হাসান বুলবুলসহ অন্যান্যরা।

ইএইচ