রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য হাবীব আজমের মানবিক উদ্যোগ

মহুয়া জান্নাত মনি, রাঙামাটি প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া মানিকছড়ির বাসিন্দা নাছিমা বেগমের মেয়ে আর্থিক সমস্যায় ভর্তি করতে না পারায় অনিশ্চয়তায় ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবারের মধ্যে ভর্তি না হলে মেয়ের শিক্ষাজীবনের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে যেত।

বুধবার দুপুরে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের বারান্দায় অসহায়ের মত দাঁড়িয়ে থাকা নাছিমা বেগমের বিষয়টি জেলা পরিষদ সদস্য মো. হাবীব আজমের নজরে আসে। তিনি মা-মেয়েকে অফিসে ডেকে নিয়ে ভর্তির প্রয়োজনীয় টাকা তুলে দেন। টাকা পেয়ে হতাশার কালো মেঘ যেন মুহূর্তেই কাটে।

নাছিমা বেগম আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, তার বড় মেয়ে সুমনা অত্যন্ত মেধাবী। কোন প্রকার প্রাইভেট ছাড়াই নিজে নিজে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাতেও কোনো কোচিং করেনি। নিজের মেধায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু ভর্তির টাকার অভাবে দুশ্চিন্তায় ছিল। হাবীব আজম বিষয়টি জেনে সঙ্গে সঙ্গে ভর্তির টাকা প্রদান করেন।

তিনি বলেন, ‘এই সাহায্যের জন্য আমি তার জন্য প্রাণভরে দোয়া করি। ভবিষ্যতেও আমার মেয়ের পড়ালেখায় তিনি পাশে থাকবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’

অন্যদিকে জেলা শহরের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রোকেয়া বেগম দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত। তার চিকিৎসার জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ প্রয়োজন। বিষয়টি হাবীব আজমের কাছে পৌঁছালে বুধবার তিনি রোকেয়া বেগমকে নগদ ১০ হাজার টাকা তুলে দেন। টাকা পেয়ে রোকেয়া বেগম আবেগে কান্না করেন এবং তার জন্য দোয়া করেন। 

তিনি বলেন, ‘আমার অসুস্থতার কথা শুনে প্রায় সময় ওষুধ কিনে দেন, টাকা দেন হাবীব আজম। আল্লাহ তাঁর মঙ্গল করুন।’

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মো. হাবীব আজম জানান, ‘এক মেধাবী শিক্ষার্থী সুমনা আকতার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে, কিন্তু আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল। বিষয়টি জানতে পেরে আমি সঙ্গে সঙ্গে ভর্তির টাকা দিয়েছি। ভবিষ্যতেও পড়ালেখায় যত সহযোগিতা প্রয়োজন করবো। এছাড়া অসহায় ও দুস্থদের জন্য সীমিত সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।’

ইএইচ