পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ১ কেজি ৮২০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ মাছ ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
রোববার সকালে উপজেলা সদর সুবিদখালী বাজারের সাপ্তাহিক হাটে এ মাছটি বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন জেলে নিরব হাওলাদার। মাছটি একই দিন সকালে পায়রা নদীতে তার জালে ধরা পড়ে।
সুবিদখালী বাজারের মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ী হরেন বাবু বলেন, মাছটি নিলামে ৬ হাজার টাকায় জাকির হোসেন নামের ব্যবসায়ী ক্রয় করেন। এত বড় ইলিশ সচরাচর এই বাজারে পাওয়া যায় না। মাছটি দেখতে অনেক মানুষ ভিড় করেন।
ক্রেতা ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, এত বড় ইলিশ এখন খুব কমই মেলে। ভালো দামে বিক্রি করতে পারব ভেবেই কিনেছি। নিলামে তিনি প্রতি কেজি ২ হাজার ৮০০ টাকা দরে মোট ৫ হাজার ১০০ টাকায় মাছটি কিনেছেন। কমিশনসহ মোট দাম দাঁড়ায় ৬ হাজার টাকা।
বাজার করতে আসা ক্রেতা আসলাম হোসেন বলেন, ৩ হাজার টাকা কেজি দরে ইলিশ কেনা আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। আগে মাসে অন্তত একবার হলেও বড় ইলিশ কিনে নিয়ে যেতাম। কিন্তু নদীতে মাছ না পড়ায় এখন তা ক্রমেই অসম্ভব হয়ে উঠছে।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, এটি মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞার সুফল হিসেবে দেখা যেতে পারে। গভীর সমুদ্রে বড় আকারের ইলিশ থাকে, যেখানে ফ্যাট ও ভিটামিন বেশি থাকে—যা হৃদরোগ, চোখের সমস্যা ও মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। তবে এখন আর আগের মতো বড় ইলিশ মিলছে না। ছোট ইলিশের অতিরিক্ত আহরণ, পানির প্রবাহ কমে যাওয়া, বাঁধ ও স্লুইসগেট, অবৈধ জাল ব্যবহার, পানিদূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বড় ইলিশের সংখ্যা কমছে। মৎস্য বিভাগ উৎপাদন বাড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইএইচ