লোহাগাড়ার পদুয়া বাজারে নিত্যদিনের যানজটে ভোগান্তি

আরিফুল ইসলাম রিফাত, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২৫, ০৮:১২ পিএম

একসময় পটিয়ার শান্তিরহাট যানজটের জন্য কুখ্যাত ছিল। দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হতো যাত্রীদের। তাই অনেকেই একে অশান্তিরহাট বলেই ডাকত। 

তবে সড়ক প্রশস্তকরণ, ডিভাইডার ও ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের পর সেখানে এখন স্বস্তি ফিরেছে। কিন্তু সেই অশান্তি যেন এখন চেপে বসেছে লোহাগাড়া উপজেলার প্রবেশদ্বার পদুয়া বাজারে। 

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কসংলগ্ন এ বাজারে প্রতিনিয়ত যানজটে নাকাল অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে, ভোগান্তিতে পড়ছেন দূরদূরান্তের যাত্রীরা।

লোহাগাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি ও স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “মহাসড়কের দুই পাশে অবৈধ যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকে। দোকানের সামনে মালামাল রেখে ফুটপাত দখল করা হয়। সড়কের পাশে ব্যক্তিগত নির্মাণসামগ্রী রাখা এবং অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ডই যানজটের মূল কারণ।”

স্থানীয় বাসিন্দা মো. হেফাজত বলেন, “পদুয়ার যানজটের মূল কারণ ঈগল পরিবহন। ২–৩টি গাড়ি একসাথে পুরো সড়ক দখল করে রাখে, পেছনের গাড়িকেও সাইড দেয় না।”

নুরুল ইসলাম সিকদার জানান, প্রতিদিন যানজটে পড়ে যাত্রীদের সময় অপচয় হচ্ছে। অন্তত একজন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতো।

নেছারুল হক বলেন, “লোহাগাড়া থেকে নিয়মিত চট্টগ্রাম শহরে যাই। কিন্তু পদুয়ার যানজট এতটাই প্রকট যে সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছানো যায় না। কর্মক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়ে।”

এ বিষয়ে ট্রাফিক ইনচার্জ (টিআই) পরিদর্শক হাসানুজ্জামান হায়দার বলেন, “লোকাল বাসগুলো দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করে, সেটিই পদুয়া বাজারে যানজটের অন্যতম কারণ। এর সঙ্গে সিএনজির বিশৃঙ্খলাও আছে। মামলা দিয়েও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। জনবল সংকটের কারণে সেখানে নিয়মিত ট্রাফিক সদস্য মোতায়েন করা যাচ্ছে না। তবে জনবল চাহিদা পাঠানো হয়েছে, আশা করি শিগগিরই সমাধান হবে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমি সদ্য যোগদান করেছি, তাই বিষয়টি আগে জানা ছিল না। দ্রুতসময়ের মধ্যে সমস্যাটি সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

ইএইচ