মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে গবিতে ‍‍‘মুক্ত আলোচনা‍‍’ অনুষ্ঠিত

গবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৫, ০৮:০৯ পিএম

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) এক ‘মুক্ত আলোচনা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার বেলা ২টায় গবির সাংবাদিক সংগঠন ‘গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি’ (গবিসাস)-এর আয়োজনে গবিসাস কার্যালয়ে এই আয়োজন সম্পন্ন হয়।

আলোচনা সভায় আমার দেশ পত্রিকার ফটো এডিটর এবং গবির সিনিয়র ফটোগ্রাফার রফিকুর রহমান রেকু বলেন, “যতক্ষণ মালিকপক্ষ হস্তক্ষেপ না করে, ততক্ষণ সংবাদমাধ্যমগুলো মুক্ত এবং অবাধ সাংবাদিকতার চর্চা করতে পারে। দেশের অধিকাংশ মিডিয়া হাউজ নষ্ট হয়ে গেছে এবং সাংবাদিকতার মান খর্ব হয়েছে এসব সংবিধিবদ্ধ কারণেই। তবে নিজেদের মর্যাদা সমুন্নত রেখে কাজ করলে আশা করা যায়, আগামীতে সংকটগুলো দূর হবে।”

আজকের পত্রিকা‍‍`র সাভার-আশুলিয়া প্রতিনিধি এবং গবিসাসের সাবেক সভাপতি রিফাত মেহেদী বলেন, “সমসাময়িক সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিশেষ প্রভাব বিস্তার করছে। আগামীতেও এর প্রভাব বাড়বে। তবে তথ্য যাচাই ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এআইকে দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করতে হবে। সাংবাদিকতাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে এবং গোষ্ঠীগত প্রভাবমুক্ত থেকে পেশাটি চালিয়ে যেতে হবে।”

গবিসাসের সভাপতি সানজিদা জান্নাত পিংকি বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ের প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকের প্রশ্ন বা প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করা যেতে পারে, কিন্তু চাকরিচ্যুতি বা জনতা সৃষ্টি করে হেনস্তা করা গ্রহণযোগ্য নয়।”

তিনি আরও বলেন, “ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা একপ্রকার ‘জলে বসে কুমিরের সঙ্গে লড়াই’ করার মতো। প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক সময় নানা রূপে প্রতিকূলতা তৈরি করে। সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকদের হেনস্তা হওয়া নতুন নয়। ফলে দীর্ঘ ধৈর্য ও সাহসিকতার মধ্য দিয়েই এই সময়টা পার করতে হয়।” 
আলোচনায় আরও অংশ নেন গবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা, গবিসাসের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিদ হাসান, প্রচার সম্পাদক মাহিদুজ্জামান সিয়াম প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গবিসাসের সদস্য, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

ইএইচ