“গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করবে, তবে তা যেন তথ্য যাচাই (ফ্যাক্টচেকিং) করে সত্য তুলে ধরে”—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন। তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যমকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, “বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো ‘নির্বাচন’। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক। তবে যদি নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে গণমাধ্যমকে নিজেদের তোষণযন্ত্রে পরিণত করে, তাহলে প্রকৃত গণতন্ত্র ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও রাজনীতিবিদদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে।”
শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির দুই দশকে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জবিসাসের সভাপতি ইমরান হুসাইন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন লিমন।
মনিরা শারমিন আরও বলেন, “রাজনীতিবিদ হিসেবে আমার দায়িত্ব গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করা। কিন্তু অতীতে দেখা গেছে, গণমাধ্যম আমাদের পাশে না থেকে অনেক সময় ফ্যাসিবাদী আচরণ করেছে। কেউ কেউ 'জুলাই বিপ্লব'কে স্রেফ আন্দোলন হিসেবে উপস্থাপন করেছেন, যা প্রকৃত ইতিহাস বিকৃতি। অনেক গণমাধ্যম সে সময়কার বাস্তবতাকে ধারণ করেনি।”
আলোচনার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্যে জবিসাস সভাপতি ইমরান হুসাইন বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি দুই দশক পূর্তি উদযাপন করছে। এ উপলক্ষে আমরা এই আলোচনা সভার আয়োজন করেছি। আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণে রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যমের যৌথ দায়বদ্ধতা ও ভূমিকা নিয়ে সচেতনতা তৈরি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা দক্ষিণ শাখার সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, গণ অধিকার পরিষদের নেতা রাশেদ খান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির মহাসচিব মুহা. নিজামুল হক নাঈম, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলামসহ আরও অনেকে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
ইএইচ