হলের নামকরণ ও একাডেমিক নিপীড়ন রোধে জাবি শিবিরের পাঁচ দফা দাবি

জাবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২৫, ০৭:৫২ পিএম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-পরবর্তী সময়ে বিলুপ্ত হওয়া হলগুলোর পুনঃনামকরণ এবং আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের একাডেমিক হয়রানি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাবি শাখা।

বুধবার শাখা শিবিরের সভাপতি মহিবুর রহমান মুহিব ও সেক্রেটারি মুস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রস্তাবনায় এসব দাবি তুলে ধরা হয়। 

প্রস্তাবনায় ঐতিহাসিক 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান'-কে জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পাঁচ দফা দাবিও পেশ করা হয়েছে।

প্রস্তাবনায় বলা হয়, “জুলাই অভ্যুত্থানে জাবির সাহসী শিক্ষার্থীরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছে, রক্ত দিয়েছে। সেই সাহসিকতার স্পিরিট ও স্মৃতি ধরে রাখতেই আমরা পাঁচটি প্রস্তাব করছি।”

প্রস্তাবিত পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো

১. জুলাই অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার ৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।

২. ১৫ জুলাইয়ের ঘটনার স্মৃতিতে উপাচার্য বাসভবন থেকে চৌরঙ্গী মোড় পর্যন্ত সড়কের নামকরণ ‘জুলাই স্মৃতি সড়ক’ করতে হবে।

৩. আন্দোলনের ইতিহাস ও আত্মত্যাগ স্মরণে ‘জুলাই কর্নার’ স্থাপন এবং ‘জুলাই স্মৃতি স্মারক’ প্রকাশ করতে হবে।

৪. প্রস্তাবিত চারটি আবাসিক হলের নামকরণ ‘জুলাই চেতনা’ অনুযায়ী করতে হবে।

৫. আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের একাডেমিক হয়রানি বন্ধে খাতা পুনর্মূল্যায়নসহ কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিবৃতির শেষাংশে বলা হয়, “আমরা প্রত্যাশা করি—জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ম্যান্ডেটধারী প্রশাসন এই ঐতিহাসিক বিপ্লবের মান অক্ষুণ্ন রাখতে প্রস্তাবনাগুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”

ইএইচ