আসাম-মেঘালয়ে বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জনের মৃত্যু 

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২২, ০৭:৫৫ পিএম

প্রবল বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যা এবং ভূমিধসে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম ও মেঘালয়ে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আসামে গত ৪৮ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১২ জন এবং বাকি ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ত্রিপুরায়। 

এরই মধ্যে আসামের বরাক উপত্যকা, ত্রিপুরা, মিজোরাম এবং মনিপুর রাজ্য দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকে সড়ক ও রেলপথে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আসামের ২৮টি জেলায় প্রায় ১৯ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। চলতি মৌসুমে এটি দ্বিতীয় দফা বন্যার ঘটনা। ত্রাণ তৎপরতা চালাতে ও উদ্ধারে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী। 

এরই মধ্যে আসামের বরাক উপত্যকা, ত্রিপুরা, মিজোরাম এবং মনিপুর রাজ্য দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকে সড়ক ও রেলপথে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আসামের ২৮টি জেলায় প্রায় ১৯ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। চলতি মৌসুমে এটি দ্বিতীয় দফা বন্যার ঘটনা। ত্রাণ তৎপরতা চালাতে ও উদ্ধারে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী। 

আসামে বন্যার্তদের উদ্ধার করতে গিয়ে ১৬ জনের একটি উদ্ধারকারী দল এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে উদ্বেগ বেড়ে গেছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রয়োজনীয় সাহায্য করছেন। 

এদিকে মেঘালয়ের মৌসিনরাম ও চেরাপুঞ্জিতে ১৯৪০ সালের পর থেকে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। বন্যায় মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারকে ৪ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা।

বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের সীমান্তসংলগ্ন ত্রিপুরার আগরতলায়ও বন্যার খবর পাওয়া গেছে। মাত্র ছয় ঘণ্টায় শহরটিতে ১৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সরকারি সূত্র বলছে, গত ৬০ বছরের মধ্যে আগরতলায় তৃতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। বন্যার কারণে সেখানে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে অরুণাচল প্রদেশে সুবর্ণসিরি নদীর পানি উপচে নির্মাণাধীন একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ তলিয়ে গেছে।


ইএফ