মমতা ব্যানার্জী

আমরা পররাষ্ট্রনীতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে আছি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক    প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৫, ০৭:৩১ পিএম

পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তিনি বলেছেন, আমরা কেন্দ্রের দৃষ্টিভঙ্গি ও অ্যাকশনকে সমর্থন করছি।

সোমবার (১৯ মে) উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার আগে কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ কথা বলেন তিনি।

সম্প্রতি কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পর আন্তর্জাতিক দরবারে পাকিস্তানবিরোধী প্রচারণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সেই লক্ষ্যে তৈরি হয়েছে সর্বদলীয় এক প্রতিনিধি দল। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংসদ সদস্য এবং মুখপাত্রদের নিয়ে তৈরি এই দলকে বিভিন্ন দেশে ঘুরে বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রচারণার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সেই দলে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুরের সংসদ সদস্য তথা সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য ইউসুফ পাঠানের নাম ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সেই নাম প্রত্যাহার করে নেয়, যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

এ বিষয়ে মমতা ব্যানার্জী বলেন, এখন এমন সিস্টেম হয়ে গেছে যে, কেন্দ্র দলকেই জানায় না। সংসদীয় দল শুধু সংসদ অধিবেশনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে, নীতিনির্ধারণ করতে পারে না। তাই আমাদের কাছে কোনো আবেদন আসেনি। যদি আমাদের কাছে আবেদন আসতো, আমরা অবশ্যই বিবেচনা করতাম।

তিনি বলেন, আগেও বলেছি, পররাষ্ট্রনীতিতে আমরা কেন্দ্রের পাশে রয়েছি। এখন আমরা কেন্দ্রের দৃষ্টিভঙ্গি ও অ্যাকশন সমর্থন করছি। কিন্তু ওরা সদস্য নির্ধারণ করে দিতে পারে না। তারা নিজেদের সদস্য বাছাই করতে পারে। অন্য দলের সদস্য ঠিক করে দিতে পারে না। এটি দলের সিদ্ধান্ত। যদি আমাকে অনুরোধ করে, তবে আমরা চিন্তাভাবনা করে পাঠাবো।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা কেন্দ্রের এই উদ্যোগকে বয়কট করছি, এটি বলা ঠিক নয়। সংসদীয় দল সংসদের বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। সেটিও দলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। লোকসভা ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান আমি অথচ আমাদের কখনো জানানো হয় না। আমাদের জানালে অবশ্যই জানাবো।

বেশ কিছুদিন ধরে চাকরিহারা শিক্ষকরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা দপ্তর বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ করছেন। সে বিষয়েও মমতা বলেন, আমার যথেষ্ট সিমপ্যাথি ছিল, থাকবে। আমি বলেছিলাম রিভিউ করবো। কোর্টে কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে। আমরা রিভিউ পিটিশন করেছিলাম। আদালত কোনো সিদ্ধান্ত নিলে মানবো না, বলতে পারি না। এখনো কারও মাইনে বন্ধ হয়নি। গ্রুপ সি, ডি কর্মীদের স্কিম করে মাইনে দেওয়া হচ্ছে। এই আন্দোলনে যারা উসকানি দিচ্ছে, তারাই মামলা করেছে। নাটের গুরুরা যদি স্বার্থরক্ষার গুরু হয়ে যায়, তাহলে মুশকিল। রাজ্য সরকারের ওপর ভরসা রাখা উচিত ছিল। শিক্ষকদের কাছ থেকে সৌজন্য সম্মান আশা করি।

এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন,আমি উত্তরবঙ্গ যাচ্ছি। সেখানে সরকারি প্রকল্পের কর্মসূচি রয়েছে। আর শিলিগুড়িতে চিকেনস নেক রয়েছে, তাই এটি দেখার দায়িত্ব আমারও।

আরএস